শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বুয়েটে শোক দিবসের কর্মসূচীতে বাঁধা প্রদানকারীদের শাস্তির দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৪:৩৬ পিএম

বুয়েটে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে বাঁধা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাঁধা প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতসহ অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ (১৪ আগস্ট) এই দাবি জানানো হয়েছে। 

লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, "গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে বাঁধা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারীদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতসহ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারীরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না।এদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যে প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয় সেই প্রতিষ্ঠান কারা চালায়। বুয়েট প্রশাসনের মুখোশ ইতিমধ্যে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। শোকাবহ আগস্টে এরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বাঁধা দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে। এদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালনের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। বুয়েটে পাকিস্তানি অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আইন প্রণয়ন করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও বুয়েট প্রশাসন কোন কর্ণপাত করছেন না। এধরণের সিদ্ধান্ত দ্বারা বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল জামাত-শিবির-জঙ্গিগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বুয়েটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ও জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তার সুস্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে, গতকাল জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে জামাত-শিবিরের বাঁধা প্রদান। বুয়েট শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের জঙ্গি ক্যাডাররা। কিন্তু তখন বুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরেক বুয়েট শিক্ষার্থী সনিকে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা বিএনপি সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ক্যাডাররা। তখনও বুয়েট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। হঠাৎ কেনো তারা বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলো? কারণ তারা বুয়েটে জামাত-শিবির-জঙ্গিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। সকল প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি চর্চা বন্ধ করে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী জামাত-শিবিরের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়ার জন্যেই এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি। জামাত-শিবির এবং জঙ্গি সংগঠনগুলো রাজনীতি করে অন্ধকারে। বুয়েট প্রশাসন এসব প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এরা আবার রগকাটার রাজনীতি শুরু করবে। মুক্তমনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের হত্যা করার পথ সুগম করে দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জামাত-শিবির-জঙ্গিরা এতোদিন প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ পেতো না। এখন তারা প্রকাশ্য খুন ও রগকাটার রাজনীতি শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করেছে। হলগুলোকে জামাত-শিবিরের অভয়ারণ্য পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিজের জীবন দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে লাল সবুজের পতাকা। বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্রদল ও শিবিরের কমিটি থাকতে পারলে কেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটি থাকতে পারবে না? বুয়েট প্রশাসনকে অবশ্যই এধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণের জবাব দিতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও মৌলবাদী সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সংগঠনগুলোকে বুয়েটে রাজনীতি করার সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করতে করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে ধ্বংস করার জন্য গভীর চক্রান্ত চলছে। বুয়েট এখনও পাকিস্তানী অধ্যাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েটের যাত্রা শুরু। তৎকালীন সময়ে দেশ ছিল স্বাধিকারের দাবিতে উত্তাল। ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার তার নীলনকশার আলোকে বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখে। এমনকি মিছিল-সমাবেশসহ অনেক অনেক ছোট ছোট বিষয়ও নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছিল নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। এরপর দেশ স্বাধীন হলে সরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১৯৭৩ সালে আলাদা আইন হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আইন করার কথা ছিলো। কিন্তু ১৯৭৫ সালে  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেই উদ্যোগ থমকে যায়। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘসময়। সেই আইন আর হয়ে ওঠেনি। ১৯৭৫ থেকে ২০১৯। কখনো শুনিনি কোথাও উচ্চারিত হয়েছে বুয়েটের পাকিস্তানী অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরেও পাকিস্তানি অধ্যাদেশে চলা বুয়েট থেকে কখনোই পাকিস্তানী ভূত নামেনি।   কয়েকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো বুয়েটে ওড়েনা জাতীয় পতাকা। বিভিন্ন হল ও ইনস্টিটিউটের সামনে পতাকার স্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে পতাকা ওড়েনা। ১৯৬২ সালের পাকিস্তানি ভাবধারার অধ্যাদেশ বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সভা ও সমাবেশ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বুয়েট প্রশাসন এদেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। 

বুয়েট প্রশাসনের নিকট দাবি, বুয়েটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার সাথে জড়িতদেরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সিসি টিভির ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে বুয়েট থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারসহ আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ১৯৬২ সালের পাকিস্তানী অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বুয়েট পরিচালনা করার জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে। 

অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট ছাত্রশিবির কমিটির সকল জঙ্গি এবং এদের লালন-পালনকারী জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারসহ আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। অন্যথায় বুয়েট ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com