প্রকাশ: সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:১৯ পিএম আপডেট: ২৭.১২.২০২১ ১১:২১ PM

আজকে আমরা কয়েকদিক থেকে বিবেচনা করে বলতেই পারি যে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এবং এটা যখন হয় তখন কিন্তু সেই রাষ্ট্রের জনগণ বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন তাদের মর্যাদা বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, দৃঢ় মানসিকতা, দূরদর্শিতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বিশ্বের অনগ্রসর দেশ ও জাতির আদর্শ শেখ হাসিনা আজ দক্ষ নেতৃত্বের রোল মডেল।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬৬তম পর্বে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব হোসেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
সৈয়দ আহমেদ সেলিম বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একক নেতৃত্ব, বলিষ্ঠতা ও ইস্পাত কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্ন কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আর তিনি যে স্বপ্ন দেখে গিয়েছিলেন সেটার বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা, প্রজ্ঞা, আত্মিক বলিষ্ঠতা দিয়ে বিগত ১২ বছরে সব কিছু জাতিকে অর্জন করে দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু করার মাধ্যমে তিনি কোটি প্রাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রাজ্ঞতা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাইলফলক অর্জন করল দেশ। এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নের নতুন অভিযাত্রা শুরু হলো। এই অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জন্য যা এক অনন্য অর্জন। এ অর্জন অবশ্যই আমাদের আশাবাদী করে। করোনাকালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের চূড়ান্ত অনুমোদন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। আরও বেশি হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সুগম হবে। জনসাধারণের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি দূরীকরণে দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।