প্রকাশ: রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৫৮ পিএম আপডেট: ২৬.১২.২০২১ ৯:০৬ PM

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নৌ পরিবহন আদালত।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বেল্লাল হোসাইন বিষয়টি কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
এর আগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে।
মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি ঝালকাঠির নলছিটি থানা এলাকা অতিক্রম করার পর রাত আনুমানিক ৩টায় ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাটের অনেক আগেই জাহাজে থাকা যাত্রীদের অনেকে নদীতে লাফ দেন। আগুনে কেবিনসহ সবই পুড়ে যায়।
ইনচার্জ মাস্টার, ইনচার্জ ড্রাইভার ও সেকেন্ড ড্রাইভার আগুন নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় ৪২ জন যাত্রী পুড়ে মারা যান। আনুমানিক ১৫০ জন যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, লাইফ বয়া, বালির বাক্স ও বালতি ছিল না। ইঞ্জিন রুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে অনেকগুলো ডিজেল বোঝাই ড্রাম ও রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে