শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
যে কারণে দেশে গত ৩০ বছরের তুলনায় কম তাপমাত্রা!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:০১ পিএম আপডেট: ২২.১২.২০২১ ১:১৫ PM

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ডিসেম্বরের ২০ এবং ২১ তারিখে সারাদেশে যে তাপমাত্রা, তা গত ৩০ বছরের একই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড়ের চেয়ে বেশ কম।

গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা রাতে গড়ে ৯-১৫ ডিগ্রি এবং দিনের বেলায় ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এই তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের এই সময়ে দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড়ের চেয়ে এক থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম।

একারণেই এই মূহুর্তে দেশের ১০টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ চললেও, সারাদেশেই স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মোঃ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, এ বছর শীতের অনুভূতি বেশি দেখা যাচ্ছে।

পুরো দেশেই বিশেষ করে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনও স্বাভাবিকের চেয়ে কমই থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের সাধারণ তাপমাত্রার হিসাব অনুযায়ী বড় কোন এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

তাপমাত্রা যদি ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকে তাহলে তাকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বলে।

কিন্তু তাপমাত্রা যদি ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।

চলছে শৈত্যপ্রবাহ

দেশের ১০টি জেলায় এই মুহূর্তে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই থেকে তিনদিন চলবে।

এই মূহুর্তে গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া এবং চুয়াডাঙায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়াতে, ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে সোমবার চুয়াডাঙায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সাত ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু ২১শে ডিসেম্বর সকালে কিছুটা বেড়েছে।

আগের দিন অর্থাৎ ২০শে ডিসেম্বরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা ছিল যশোর, তেঁতুলিয়া, পাবনার ঈশ্বরদী, রাজশাহী, এবং বরিশালে।

আরো আটটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেছেন, বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু শীতল বাতাসের কারণে দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি বেশিই থাকবে।

এ সময়ে রোদের দেখা কম মিলবে, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে অনেক জায়গায়।

কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে, আর সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।

গড় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণ কী?

দেশে এখন চলছে বাংলা মাস পৌষ। সাধারণত বছরের এই সময়টায় অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে এমনিতেই তাপমাত্রা কম থাকে।

ডিসেম্বরের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। আর এ বছর কিছুটা আগেই দেশে শুরু হয়েছিল শীতের মৌসুম।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

তবে মল্লিক বলেছেন, এ মাসের অবশিষ্ট কয়েকদিনে তীব্র শৈত্য প্রবাহের কোন সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু তিনি বলেছেন, এ বছরের এই শীতল তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের তাপমাত্রার চাইতে অঞ্চলভেদে এক থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত কম।

এর পেছনে কারণ হিসেবে তিনি যেসব কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, সেগুলো হলো:

বাতাসের দিক এবং গতিবেগে পরিবর্তন: এ সময়ে হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাস উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাতাসের গতিবেগ ভৌগলিক কারণে বেশি থাকে। এ বছর সেটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে।

সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম: কোন একটি এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য এ বছর অনেক কমে গেছে। আবার সাধারণ সময়ে দিনের বেলায় যে তাপমাত্রা থাকে, রাতে তার চাইতে কয়েক ডিগ্রি কমে যায়। পরদিন সূর্য ওঠার পর সেটি বাড়ে। কিন্তু এ বছর দিন ও রাতে তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কমে গেছে সারাদেশেই। এই মূহুর্তে পুরো দেশে রাতের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রাও অনেক জেলাতে একই রকম রয়েছে।

সূর্যের কিরণকাল: কুয়াশার কারণে এই সময়টাতে দেশের অনেক জায়গাতেই সূর্য দেরি করে ওঠে। এর ফলে দিনে সূর্যের কিরণকাল কমে যায়, মানে যতক্ষণ সময় সূর্যালোক পাবার কথা, তার চেয়ে কম পাওয়া যায়, ফলে উষ্ণতার হারও কমে যায়। এ বছর কুয়াশা কিছুটা বেশি।

সূর্যের অবস্থান: বছরের এই সময়টায় সূর্যের দক্ষিণায়ন হয়, এর মানে হচ্ছে সূর্যের অবস্থান সরাসরি দেশের ভূমি বরাবর নয়। বরং এখন সূর্যের অবস্থান বঙ্গোপসাগর বরাবর রয়েছে, যে কারণে সূর্য কিছুটা তির্যকভাবে আলো দিচ্ছে বাংলাদেশে। এ কারণে সূর্যের তাপ কম অনুভূত হয়।

জলীয় বাষ্প কমে যাওয়া এবং শুষ্ক আবহাওয়া: কোন অঞ্চলের বাতাসে জলীয় বাষ্প ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে আবহাওয়া শুষ্ক এবং বাতাস ভারী হয়ে পড়ে। তার ফলে অবশ্যম্ভাবীভাবেই শীত বাড়ে। বাংলাদেশে এই মূহুর্তে গড়ে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক কম। সূত্র: বিবিসি বাংলা



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com