প্রকাশ: বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৭ AM

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা আমাদের দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন সেটা মার্গারেট থ্যাচারারকে ছাড়িয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৬০তম পর্বে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর)এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ’র (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমি শুরুতেই এই বিজয়ের মাসে শুরুতে স্মরণ করতে চাচ্ছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আমাদের জাতীয় চার নেতার মাগফিরাত কামনা করছি এবার এর সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা ও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। সেসময় সাড়ে সাত কোটি বাঙালিদের মধ্যে গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া সবাই কিন্তু স্বাধীন বাংলার স্বপ্নে মাতোয়ারা ছিল। বঙ্গবন্ধু যেভাবে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন এবং সেই কারণে সেসময় দেশের সকল স্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যারা ছিল একটি দূরদর্শী বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল তাদেরকে কিভাবে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করে স্বাধীন বাঙলার কাক্সিক্ষত স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করেছিল। তাদেরকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ও পর্যুদস্ত করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন, এ দেশের মানুষ অন্য এক বাংলাদেশের গল্প শুনতে পায়। এক সময় যেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, সেই দেশ আজ বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বিশ্বের কয়েকটি জরিপ প্রতিবেদনেও শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। বছরটি ছিল সাফল্যের বছর। উন্নয়ন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফলে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া পাঁচটি দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশ অন্যতম। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বা তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই দেশের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা এসে বলে গেছেন- বাঙালি জাতির মেধা, পরিশ্রম আর একাগ্রতার মাধ্যমে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যদি বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত নিয়ে যদি বিস্তর আলোচনা করি তাহলে দেখতে পাবো যে আমাদের পঞ্চাশ বছর আগে এবং আজ পঞ্চাশ বছর পর আমাদের অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে। সেটা অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, স্বাস্থ্যগতভাবে, শিক্ষাগতভাবে, অবকাঠামোভাবে; আমরা আজ বহুগুণে এগিয়েছি।