
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপে অংশ নিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। সংলাপে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় পার্টি তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় পার্টির (জাপা) ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের ছিলেন- জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
সংলাপ শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতিকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে জাপা। নির্বাচন কমিশন গঠনে আমরা আইন করতে বলেছি। আইন না মানলে কমিশনের সাজার বিধান থাকতে হবে নতুন আইনে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন। সরকার চাইলে জাতীয় পার্টি সহায়তা করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সার্চ কমিটির জন্য চার থেকে পাঁচজনের নাম দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে৷
নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ। সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত কমিশন নিরপেক্ষ হতে পারে না দাবি করে বিএনপি বলছে, এ সংলাপে অংশ নেবে না তারা। কারণ এই সংলাপ ফলপ্রসু হওয়ার মতো পরিবেশ দেশে নেই।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ। তাই নতুন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার প্রথম দিন সংলাপে অংশ নিল সংসদের বিরোধী দল-জাতীয় পার্টি।
সূচি অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মতবিনিময় হবে রাষ্ট্রপতির। পরদিন ২৭ ডিসেম্বর তরিকত ফেডারেশনের সঙ্গে বিকাল ৪টায় এবং খেলাফত মজলিসের সন্ধ্যা ৬টায় সংলাপ হবে।
১৪ দলের আরেক শরিক ওয়াকার্স পার্টির সঙ্গে ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বসবেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টায় সংলাপ হবে।
নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে। সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এবরও তাই হচ্ছে।
২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই সংলাপ শুরু হয়েছিল। তা এক মাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে চলে।