প্রকাশ: রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৭:০১ পিএম

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ প্রায় ১৭০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে, রাজধানীর উত্তরায় ৪ নাম্বার সেক্টর পার্কে ডায়াবেটিস সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও ফ্রী ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর কল্যাণ সমিতি সেক্টর ৪ এর সভাপতি মেজর আনিসুর রহমান (অবঃ) এবং সেমিনারের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাইকোসোমাটিক ও লাইফ স্টাইল ডিজিজ থেরাপিস্ট ও কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব এর কো-অর্ডিনেটর ডাঃ মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মেজর আনিসুর রহমান (অবঃ) তার বক্তব্যে বলেন, আসলে পৃথিবীতে যত ক্রনিক ডিজিজ আছে, ডায়াবেটিস তার মধ্যে অন্যতম এবং জীবনাচার বা লাইফ স্টাইল এর উপর এর সরাসরি প্রভাব আছে আমরা যদি সুস্থ জীবনের অনুসরণ করি আমার ডায়াবেটিস মুক্ত থাকবো আবার যদি অসুস্থ জীবনাচার অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস শরীরের যত্ন না নেই নিয়মিত ব্যায়াম না করি ইয়োগা না করি তাহলে সহজেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারি। এজন্যই আমরা আজকের প্রোগ্রাম থেকে আরো করণীয় বর্জনীয় গুলো জেনে গেলাম আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
প্রধান আলোচক ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আজকের বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম ডায়াবেটিসকে কিভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, বা থাকলে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ নিরাময় করতে পারি। এখনকার লাইফস্টাইল এক্সপার্টরা বলছেন, এই রোগের মূল কারন হচ্ছে ভুল জীবনধারা এবং ভ্রান্ত জীবন দৃষ্টি টেনশন স্ট্রেস।
যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে আমরা জীবন-যাপন করতে পারি জীবন ধারণ করতে পারি তবেই বলবো এই ডায়াবেটিস শুধু প্রতিরোধ নয় নিরাময় করা সম্ভব। সেই জন্য সুনির্দিষ্ট গবেষণা হয়েছে। যারা এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী তাদের জীবনধারা চেঞ্জ করেছেন তারা রীতিমতো এখন ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন যাপন করছেন। তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আমি আজকে যারা উপস্থিত আছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাই যে তারা জীবনধারা পরিবর্তন এবং জীবনসুন্দর করার জন্য আজকের প্রগ্রামে উপস্থিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল উত্তরা কল্যাণ সমিতি সেক্টর ৪ অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলো, উত্তরা ইয়োগা সোসাইটির ও পরিচালনা করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এছাড়া সহযোগী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন কে সি হসপিটাল লিমিটেড, আর এস এস গ্রুপ, মায়েদা অ্যাপারেলস লিমিটেড।