বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জেল হত্যার কুশীলবদেরও বিচার করতে হবে
#১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা: মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার। #মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে হবে: মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ। #তেসরা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১, ১১:২২ পিএম

বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য যে কয়টি কলঙ্কতম দিন রয়েছে তার মধ্যে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসটি অন্যতম একটি। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় এটি আসলে সবই একইসূত্রে গাঁথা। এই ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে সেটার উৎপত্তি ও পরিকল্পনা একই জায়গা থেকে হয়েছে এবং এটির মাধ্যমে যে তাদের যে লক্ষ্য ছিল সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা সেসময় অনেকদূরে অগ্রসর হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত কিন্তু সেটা তারা করে যাচ্ছে। তাদের ওই ছকে দুটি কার্ড থাকে। একটা হচ্ছে ধর্মের কার্ড আরেকটা হচ্ছে ভারত বিরোধিতা কার্ড। তারা এই দুটি কার্ডকে ব্যবহার করে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫১২তম পর্বে বুধবার (৩ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য যে কয়টি কলঙ্কতম দিন রয়েছে তার মধ্যে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসটি অন্যতম একটি কলঙ্কতম দিন। আজকে ৪৭ বছর পর এসে এই কলঙ্কতম দিন নিয়ে আমরা আজ যখন আলোচনা করছি তখন আমাদের সামনে যে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি আসে সেটা হলো এই জেল হত্যা যারা ঘটিয়েছে এবং এই জেল হত্যার পরের কয়েকটা দিন পর অর্থাৎ ৭ নভেম্বরে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অপশক্তির উত্থান হয়েছে এবং সেই শক্তি বাংলাদেশে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং একই ভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে আমি এই কথাগুলো বলছি তার কারণ হচ্ছে ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় এটি আসলে সবই একইসূত্রে গাঁথা। এই ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে সেটার উৎপত্তি ও পরিকল্পনা একই জায়গা থেকে হয়েছে এবং এটির মাধ্যমে যে তাদের যে লক্ষ্য ছিল সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা সেসময় অনেকদূরে অগ্রসর হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত কিন্তু সেটা তারা করে যাচ্ছে। আজকের সময়ে এসে আমরা যেটা দেখছি যে বাংলাদেশের মূল সংকট সেটা হলো উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটা মনোলেথিক ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর যে প্রচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে ঘটনাগুলো দেখছি সেটা আমাদের আসলেই সেই আগের কথাগুলোই স্মরণ করে দেয়। এই কথাটা আমি এইজন্য বলছি যে আজ ৪৭ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা এই কলঙ্ক থেকে বের হতে পারছি না। কেন বের করতে পারাছি না সেটাই আমাদের মূল আলোচনার বিষয়। ১৯৭৫-এর এই দিনে। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে নিরাপদ জায়গাটা হচ্ছে জেল খানা, সেই জেলখানায় বসেই ইতিহাসের সবথেকে বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু পাল্টা ক্যুর রক্তাক্ত অধ্যায়ে মানবতার শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর হন্তারক ওই একই পরাজিত শক্তির দোসর, বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য নিজেদের আখের গোছাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সাম্প্রতিক সময়ে যে সাম্প্রদায়িক দাঙা আমরা দেখলাম এটা আসলেই সেই অপশক্তি যারা ১৫ আগস্টে, ৩ নভেম্বরে ও ৭ নভেম্বরে বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, পূর্ব পাকিস্তান মানে আজকের বাংলাদেশ যখন পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে তখন কিভাবে বাংলাদেশেকে আবার পাকিস্তানের সাথে আনা যায় সেই ছকের অংশ হিসেবে তারা তাদের মত করে খেলতে থাকে এবং তারা সেই ছকে তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ১৫ আগস্টে হত্যা করা। এই হত্যাকাণ্ডের পরে তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা করেছিল তখন তারা মনে করে যে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি কারণ সেখানে আরও চার জাতীয় নেতা জীবিত আছে, তার আবার এটা রুখে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য তারা ওই ছকটি চালতে থাকতে। তাদের ওই ছকে দুটি কার্ড থাকে। একটা হচ্ছে ধর্মের কার্ড আরেকটা হচ্ছে ভারত বিরোধিতা কার্ড। তারা এই দুটি কার্ডকে ব্যাবহার করে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়। যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই চেতনা আসলে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। তারা যে দিজাতি তথ্যের ভিত্তিতে যে চেতনায় পাকিস্তান করেছে তারা আসলেই সেই চেতনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে সে সময়। তারপরে আমরা যে জায়গাটা দেখলাম যখন রাজনীতি দিয়ে তাদের তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারছে না তখন তারা হত্যার রাজনীতি শুরু করলো। এজন্যই তারা ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কুলশিত করা যে পক্রিয়া সেটা তারা আসলে তখন থেকেই শুরু করে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে ৩ নভেম্বর রাতে চারনেতার হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিকভাবে সংঘটিত করা হয়। এটি ছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার পূর্বপরিকল্পিত অংশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আগস্টেই জাতীয় চার নেতাসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে জেলে আটকে রাখার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে জেলবন্দি করে রাখা নয় বরং বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরিদের বন্দি করে রাখার মাধ্যমে যেকোনো সময়ে তাদেরকে হত্যা করা। যাতে ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতায় বসা ব্যর্থ হলে কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতায় এই অপশক্তির বিরুদ্ধে নতুন কোনো শক্তির উত্থান ঘটতে দেখলে জেলে বন্দি থাকা নেতাদের বাছাই করে হত্যা করা যায়। হত্যাকারী এবং তাদের দোসর চেয়েছিল পাকিস্তান ভাঙার প্রতিশোধ নিতে। এই হত্যার রাজনীতি বন্ধক করতে হলে এই যে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এখনো বাংলাদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে অবশ্যই শক্ত হাতে নির্মূল করতে হবে।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এই রকম নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড যেটা ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ তেশরা নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে এইরকমভাবে হত্যা হয় সেটা আসলে পৃথিবীতে নজিরবিহীন। ১৫ আগস্টের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের আড়াই মাস পর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (বর্তমানে জাদুঘর) একই বছরের ৩ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। নির্মম এই ঘটনার ঠিক আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দ্রুত যে পট পরিবর্তন এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান, সে উত্থানকালে মুক্তবুদ্ধির মানুষ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন- বঙ্গবন্ধুর পর তার বিশ্বস্ত সহকর্মী জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটিকেই (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা হলো। তারা বুঝেছিল যে, জাতীয় চারনেতার যদি একজনও বেঁচে থাকেন, তাহলে যেকোনো ঘটনাই তারা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। যে কারণে সেই হত্যাকাণ্ড শেষ করে জেলগেট থেকে আবার ফিরে গিয়ে গুলিবিদ্ধ তাজউদ্দীন আহমেদকে বেয়নেট চার্জ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এসেছিল ঘাতকচক্র। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতাকে হত্যা করে। এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সত্য যে, যারা পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারাই চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে। জাতির পিতা হত্যার পর চার নেতা হত্যার বিষয়টি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যই ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। জাতির পিতাকে হত্যা করে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই হত্যা করা হয়। যারা এই জঘন্য কাজ করেছিল তাদের শাস্তি হোক। তাদের দেশের বাইরে থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হোক। আমরা চাই যারা রাতের অন্ধকারে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিবেচিত জেলখানায় এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হোক। বাঙালি জাতি কোনো কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে চায় না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com