খুরশীদ আলম বলেন, মঙ্গলবার যে গণ টিকাদান হবে, সারা দেশে কোভিড-১৯ এই ক্যাম্পেইনে আমরা শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেবো এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেবো। আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে।
শেষ টিকা প্রদানের পর আমাদের টিম এক ঘণ্টা অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না। এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বয়সী বা তদূর্ধ্বদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে টিকা দেবো।
ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাষোর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে ডা. আবুল বাশার বলেন, তবে স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনবো না।
এ দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯ টি কেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই কোভিড-১৯ এর টিকা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি টিকা কেন্দ্রেও চলবে গণটিকা কার্যক্রম।
জানা গেছে, উত্তর সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার ও পরের দিন বুধবার প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জন করে দুই দিনে মোট ১ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।
যারা ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার যে কোনও হাসপাতালে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এখনও এসএমএস পাননি শুধুমাত্র তারাই এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। তবে ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম ভিন্ন। ষাটোর্ধ্ব কেউ রেজিস্ট্রেশন না করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সাথে নিয়ে গেলে টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়াও টিকা গ্রহণকারীগণ যে কেন্দ্র থেকে ১ম ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন এক মাস পর একই কেন্দ্র থেকে ২য় ডোজের টিকাও গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ৭৫টি কেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩৫০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এদিন টিকা গ্রহণকারীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবমিলিয়ে এই কার্যক্রমে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মোট ৫২ হাজার ৫০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
ভোরের পাতা/অ