শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে জনপ্রিয় করেছেন শেখ হাসিনা
#সততা ও সত্যের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা: ড. শ্রী বীরেন শিকদার। #বাংলাদেশের সমৃদ্ধ অগ্রযাত্রার প্রতীক শেখ হাসিনা: সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। #একজন ‘ফিনিক্স পাখি’ আমাদের হাসু আপা: ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২০ পিএম

আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৭৫-এ উপনীত হচ্ছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। ৭৫’র সেই বিয়োগান্তক ঘটনা তার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। সেদিন ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসসহ তার জীবনের আগামীর সময়গুলোও পাল্টে দিয়েছিল।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬৯তম পর্বে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে তাঁর পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জতহারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৭৫-এ উপনীত হচ্ছেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন। ৭৫’র সেই বিয়োগান্তক ঘটনা তার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। সেদিন ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশের ইতিহাস সহ তার জীবনের আগামীর সময়গুলোও পাল্টে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটেছিল সেটা যদি না ঘটতো তাহলে আজকে এই ৭৫ এ জননেত্রীর ইতিহাসটা কিন্ত অন্যভাবে রচিত হতো। পঁচাত্তরের সেই ঘটনার পরে বাঙালি জাতির জন্য একটু স্বস্তিকর ছিল যে সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে তারা সেদিন প্রাণে রক্ষা পান। আর তাই আজকে বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে এখানে চলে এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তার দল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধাবিভক্ত ও ব্র্যাকেট বন্দি হয়ে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ প্রাচীন দলটি। এই পেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে ব্র্যাকেট মুক্ত করে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বহু বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা টানা চার দশক ধরে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন এদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী, প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল এই আওয়ামী লীগকে। সেই সঙ্গে তার যোগ্য নেতৃত্বে চার বার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দলটি। সেই সঙ্গে বর্তমান মেয়াদসহ ১৭ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। 

সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের জননেত্রী, বিশ্ব নেত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনার জন্ম মাস।  ১৯৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে, সেদিন জার্মানিতে থাকার কারণেই শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, দু’বোন প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে সামরিকতন্ত্র এই দেশের মানুষের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধ হত্যা করে সংবিধানের চার মূলনীতি ফেলে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা পুনঃপ্রবর্তন করেছিল। এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির প্রক্রিয়া করছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা পিতৃ-মাতৃহীন স্নেহের ভাই রাসেলসহ ভাইদের হারিয়ে স্বজনহারা বুকভরা বেদনা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করেন। ৬৫-৭০ মাইল বেগের ঝড়-ঝঞ্ঝা, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ তাকে স্বাগত জানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, চার মূলনীতি সংবিধানে পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার অনুষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন। আজ শেখ হাসিনার নির্ভীক, তেজস্বী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের এবং সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তব প্রতিফলন দেখিয়েছেন। তার সফল রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, শিক্ষানীতি প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, শান্তি, জঙ্গি দমন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে তিনি বহু মর্যাদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনি বলা যায়, শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রা সফল হতো না।

ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন, আসলে একজন মানুষের জন্মদিন তার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ৭৫ বছর একটা লম্বা সময় এবং সেটিকে সঠিক মূল্যায়ন করারও সময়। আমরা যদিও বলে থাকে যে মূল্যায়ন করবার জন্য কি সময় চলে গেছে, তার সময় চলে যায়নি কিন্তু প্রতি মুহূর্তে মানুষের জীবনের মূল্যায়ণ করাটাও খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল ১৯৮৩ সালে তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। তখন থেকেই তাঁর সম্পর্কের জানা শোনা, পড়ালেখা করা বা জীবন সম্পর্কে দেখে আমার যে ধারণা আমার আজকের এই বয়সে এসে সেটা হলও, একটা ফিনিক্স পাখি যেমন ছায় থেকে উঠে এসে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ঠিক তেমন আমাদের হাসু আপা ঠিক সেইরকম একজন ফিনিক্স পাখি। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমন একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে যেখানে তার বাবাকে জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাগারে কাঁটাতে হয়েছে। কিন্তু সেখানে তো আর তিনি থেমে থাকেনি। তিনি সেই সময় থেকেই তার পড়াশুনা চালিয়ে জীবন সংগ্রামে নেমে পরেছিলেন। তার সফলতা কিন্তু তিনি অর্জন করেছিলেন সেই বয়স থেকেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পরিবারকে কেন্দ্র করেই একটি বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে বঙ্গবন্ধুকে মাঝখানে রেখেই বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, আমরা একটি নতুন পতাকা পেয়েছি, আমরা একটা মানচিত্র পেয়েছি, আমরা সব কিছু পেয়েছি। সেখানে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী সেই সময় থেকেই তার জীবনকে দেখেছেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। সুতরাং আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তার যে যুদ্ধ করার মতো প্রবণতা এবং যেকোনো অসফলতাকে ডিঙিয়ে সফলতা অর্জন করা এটা তার একটি সহজাত প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ   শেখ হাসিনা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com