প্রকাশ: রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৮ পিএম আপডেট: ৩১.০১.২০২১ ১০:৩৪ PM
জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশে অতি তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন আনার বন্দোবস্ত করেছেন। এটা অবশ্যই তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু খুবই আন্তরিক। তিনি কিন্তু প্রথম দিক থেকেই এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদেরকে মনিটরিং করে আসছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই করোনা ভ্যাকসিনের দুষ্প্রাপ্যতা আগে থেকেই বুঝতে পেড়েছেন বিধায় তিনি আগেই এটার জন্য যোগাযোগ করেছেন এবং এটা দেশে আনার জন্য সামগ্রিকভাবে সকল কাজ সঠিকভাবে করেছেন বিধায় বাংলাদেশে এতো তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৩৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, আজকে এটা আমাদের জন্য অতি সৌভাগ্য যে এই করোনা ভ্যাকসিন অতি অল্প সময়ে আবিষ্কার হয়েছে। যুগে যুগে কিন্তু অনেক মহামারী হয়েছিল। বসন্ত, হাম, কলেরা এই ধরণের মহামারীতে গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে গিয়েছে। তখন কিন্তু আমরা দেখেছি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে অনেক সময় লেগেছে। এর মধ্যে কিন্তু বহু লোক পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু আজ এই করোনা ভাইরাস এমন একটি ছোঁয়াচে রোগ যার কারণে সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০কোটি লোক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখের বেশি। সুতরাং এটা অত্যন্ত সৌভাগ্য আমাদের জন্য যে এই ভ্যাকসিন অতি তাড়াতাড়ি আবিস্কার হয়ে গিয়েছে। আমেরিকা লন্ডনের মতো অনেক দেশের এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। আজকে আপনাদের সংলাপের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে পাছে লোকে কিছু বলে, সেটা নিয়ে বলতে গেলে বলা চলে, এখন কোন কিছু করতে গেলেই কোন কোন লোক সমালোচনা করবে। এটা হওয়া টাই স্বাভাবিক। নানা মানুষ নানা মত তো থাকবেই। আমরা যখন ছোটবেলায় টিকা নিতাম তখন হালকা জ্বর স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়তো আমাদের। আজকে এই করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও অনেক ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের সমাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে সেদিন আমরা দেখলাম বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া টিকা নিয়েছেন, এই রকম আরও অনেককেই দেখেছি টিকা নিয়েছেন যাদের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি। তারপরেও কিছু লোক গ্রামে গঞ্জে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মানুষজনের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার চেষ্টা করছে। পদ্মা সেতু হওয়ার আগেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে গুজব আবিস্কার হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবেই এবারো এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আবোল তাবোল গুজব রটাচ্ছে তারা। কিন্তু সরকারের এটা সাফল্য যে তারা খুবই দক্ষতার সাথে করোনা ভ্যাকসিন দেশে এনে সুষ্ঠভাবে বণ্টন করছে। প্রথমে সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক সহ আরও অনেককেই প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং পরে অন্যান্যদের দেওয়া হচ্ছে। এইক্ষেত্রে আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি এই জন্য যে তিনি পশ্চিমা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশে অতি তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন আনার বন্দোবস্ত করেছেন। এটা অবশ্যই তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। আজকে এই ভ্যাকসিন যদি সুষ্ঠভাবে বণ্টন করা না যায় তাহলে আমাদের মতো এই ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে আরও বিপদ আসতে পারে। ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার কথা থাকলেও আল্লাহর অশেষ রহমত যে আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। আজকে যারা এই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার করছেন, তাদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন যে তারা কি এটা করে জনগণের কল্যাণের জন্য কিছু করছেন নাকি এই ভীতিটাকে ছড়িয়ে দিয়ে আরও সংক্রমণ বাড়িয়ে এই পুঁজিটাকে কেন্দ্র করে আপনাদের কোন স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছেন?