প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪২ পিএম

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দীকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে বিজিবির। তবে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর বাকি জনবল নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব ভোটকেন্দ্র থাকে সেখানে বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বা সরকার যেভাবে দায়িত্ব দেবে সেভাবে পালন করব।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় কিংবা জনজীবনে নিরাপত্তাহানি ঘটে সেখানে শুধুমাত্র বিজিবি নয়, পুলিশসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মিটিং করে এসব বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন।’
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিনিয়ত পুশ-ব্যাক বা পুশ-ইন হচ্ছে।
মাঝেমধ্যে দুয়েকদিন হয়তো বন্ধ থাকে। বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় প্রতিবাদ করে আসছি। কিছু কিছু জায়গায় বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের বলা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে কেউ অবৈধভাবে গেলে তাদের হ্যান্ডওভার করা হোক।
সেই অনুযায়ী কিছু কিছু জায়গায় আমাদের কাছে হ্যান্ডওভার করছে। তবে সর্বক্ষেত্রে বা সব জায়গায় বিএসএফ এটা শুনছে না। অনেক জায়গায় পুশ-ব্যাক বা পুশ-ইন এখনো চলছে। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাই কমিশনকে একাধিকবার লেখা হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের যে দূতাবাস রয়েছে সেখানে লেখা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক আরো বলেন, আমাদের ৪৪২৭ কিলোমিটারের সুদীর্ঘ সীমান্ত। এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল ভূমিও রয়েছে। আমাদের মোট জনবল ৫৭ হাজার। সেই তুলনায় জনবল আরো বাড়ানো প্রয়োজন। বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। উখিয়ায় ব্যাটালিয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আরো ব্যাটালিয়ন করার প্রক্রিয়া চলছে। নতুন নতুন বিওপি বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমান সরকার আরো ৫ হাজারের কম-বেশি জনবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন। অচিরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।