শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: এন্ডোসকপির পর খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ, শাশুড়িকে দেখে মায়ের বাসায় জোবাইদা   আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ: জামায়াত আমির   খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির   খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স    বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মনিরুল ইসলাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বরিশালে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি, নদীর পানি ঢুকছে শহরে
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ২:১৮ পিএম

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট বৈরি আবহাওয়ায় বরিশালে একদিনে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরো দুই-তিনদিন এই বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর এবং নদী বন্দরকে এক নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরো দুই-তিনদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগের চব্বিশ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় জানিয়ে আনিসুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। এটি মৌসুমি বৃষ্টিপাত। বর্ষায় সাধারণত এভাবেই বৃষ্টি হয়।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে পানি না নামতে পারায় ফসলি ক্ষেত, লোকালয় এবং সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পাঁচদিনের অবিরাম বর্ষণে নাকাল হয়ে পড়েছেন বরিশালবাসী, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কর্মজীবী, নিম্নআয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। বৃষ্টিতে অনেকেই ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছেন।

নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, বৃষ্টিতে বরিশাল শহর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিটি গলিতে জলাবদ্ধতা। সিটি কর্পোরেশন শহরের বড় বড় কয়েকটি ড্রেন পরিষ্কার করে দায়িত্ব শেষ করে। অলি-গলির ছোট ড্রেন পরিষ্কার না করায় বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয় আমাদের।

পলাশপুরের বাসিন্দা বাবুল হাওলাদার বলেন, বৃষ্টি হয়তো সপ্তাহখানেক থাকবে। এরপর আমরা ভোগান্তির শিকার হবো কমপক্ষে দুই মাস। ড্রেন-নালা না থাকায় আমাদের এলাকার পানি কোথাও নামতে পারে না। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হবে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, প্রতিনিয়ত শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্তমানে সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, কারণ শহরের চেয়ে কীর্তনখোলা নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। ড্রেন থেকে পানি নদীতে নামতে পারছে না। উল্টো নদী থেকে ড্রেন হয়ে পানি শহরে ঢুকছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, পাঁচটি টিমে ১০০ কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালায়। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের খালগুলো পরিষ্কার করতে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ভাটারখাল, জেলখাল, লাকুটিয়া খাল, কুদঘাটা খাল পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা দ্রুত সময়ে ভোগান্তি লাঘব করা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com