রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

শিরোনাম: মেজর সিনহা হত্যা মামলা : হাইকোর্টে আপিল শুনানি শুরু   ইইউ তাদের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে যুক্ত করেছে   ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের আসামি সালমান ও শিবলী রুবাইয়াতসহ ৩০ কর্মকর্তা   টাইমেসর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস   তারেক রহমানের বেড়ালের ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়   বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা    সারা দেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিএনপির টেম্পুস্ট্যান্ড দখল ও চাঁদাবাজি মিডিয়া ট্রায়াল কী?
মোঃ ফিরোজ আলম
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৬ পিএম আপডেট: ১১.০৪.২০২৫ ৭:৪৭ PM

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দু্ঃশাসনামলে বিএনপি তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সঠিক তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে সেই মিডিয়া ট্রায়াল ভালোভাবেই সামাল দিতে পারায় বিএনপির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছিলো। ছাত্রজনতার হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট জনরোষে জীবন বাঁচাতে ভারতে পলায়ন করলেও তার চেলাচামুন্ডারা (কিয়দাংশ ব্যতীত) দেশে-বিদেশে নিরাপদেই রয়ে গেছে। তাদের হাতে একদিকে যেমন রয়েছে দীর্ঘ দিনের লুটপাট করা কারিকারি অর্থ অন্যদিকে রয়েছে বিচারিক, প্রসাশনিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকসহ সকল ধরনের বিশ্বস্ত সেটাপ। সেই সাথে এক্টিভ রয়েছে নিরাপদে থাকা মিথ্যা ন্যারেটিভ সৃষ্টিকারী কলমযোদ্ধা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল অনলাইন/অফলাইন মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কমেন্টসকারী আল বটর বাহিনী। কল্পিত ডরিন চৌধুরী গং এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী খ্যাত কুবুদ্ধিজীবিসম্পন্ন জ্ঞানপাপীদের এখন বিভিন্ন তদবির বাণিজ্য, ধান্দাবাজির সুযোগ না থাকায় একরকম শুয়ে বসেই সময় কাটছে। এই সময়কে কাজে লাগাতে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে তারা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ শক্তির মধ্যে বিভেদ তৈরি করে এবং প্রকাশ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ফ্যাসিবাদী নেতাকর্মীদের নিরাপদ রাখতে। 

বিএনপির বিরুদ্ধে এই মিডিয়া ট্রায়ালে যে রাষ্ট্রীয় মদদ আছে তার প্রমাণ মিলেছে বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার উদগীরণের মাধ্যমে । কেননা শেখ হাসিনার এতো দিনের রাষ্ট্রীয় সেটাপের পাশাপাশি এখন যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন তাদের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। একটি অংশ ফ্যাসিবাদীদের দ্বারা চরম এবং চূড়ান্তভাবে নির্যাতিত হলেও তারাও এখন ক্ষমতার মোহে পড়ে নির্বাচন ছাড়াই নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে।  এই সকল গোষ্ঠী এখন নিজেদের অন্যায়-অপকর্ম, দুর্নীতি ঢাকতে যতটা না আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের অপশাসন দুর্নীতি অবিচার নিয়ে কথা বলছে, বিএনপির বিরুদ্ধে  তার চেয়ে বেশি অপপ্রচারে ব্যস্ত। ফ্যাসিবাদী আমলেও বিরোধী মতের উপর নির্যাতনের  মাত্রা সীমা লঙ্ঘন করায় জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো। ফ্যাসিবাদী চক্রের কোনো অপকর্মের ফিরিস্তি ফাঁকফোকর দিয়ে বের হলেই প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপার হতো, জনগণও সেটা নিয়ে কথা বলাবলি করতো।

ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী সর্বান্তকরণে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কারণ তারা জানে জনরোষে কোনো ফ্যাসিস্টের পতন এবং প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালায়নের পর তিনি কিংবা সেই রাজনৈতিক দল পূণরায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরেছেন এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগ মৃত পথযাত্রী যার সম্পূর্ণ বিনাশ সময়ের পরিক্রমায় প্রতিফলিত হবে। তাছাড়া গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশ থেকে ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরাও জানে গণহত্যার বিচারে তাদের করুন পরিনতি হবে। এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে জেনেই তিনি তার সান্নিধ্যের সকলকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছেন। সুতরাং নিরাপদ জীবন রেখে শেখ হাসিনা এবং পরিবারের সদস্যরা চরম শাস্তি পেতে দেশে আসবেন কেন?

বাস্তবতা হলো পরিবার-পরিজন, ভাই-বোন, সন্তান-অবিভাবক, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেই স্বার্থের দ্বন্দ্ব কিংবা সম্মানহানি হলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়, দ্বন্দ্ব জড়িয়ে একে অপরকে আঘাত করতে কিংবা একে অপরকে ত্যাগ করতে দ্বিধা করে না, দায়ভার গ্রহণ করেন না। শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঠিক বিচার না করতে না পারলে পরবর্তীতে নেতাকর্মীদের মনে সহানুভূতি জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিশ্বের অনেক বড় বড় দল সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে, এই আওয়ামী লীগের পরিণতিও তাই, সবাই তা বুঝে গেছে। এখন দীর্ঘদিনের নির্যাতিত শক্তির উপর ভর করে, তাদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি করে টিকে থাকাই তাদের একমাত্র মুক্তির পথে হাঁটলেও সবাই ইতোমধ্যে বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শেষ আশ্রয়স্থল শক্তিশালী প্রতিবেশী এবং বন্ধুসুলভ দেশ ভারত। তারাও বাস্তবতার আলোকে বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগের গণহত্যা এবং এতো অপকর্মের পর আওয়ামী লীগ আর টিকতে পারবে না। ভারতের নীতিনির্ধারকদের হুঁশ হওয়ায় আওয়ামী লীগের অপকর্মের দায়ভার গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে অন্ধভাবে সাপোর্ট করেও টিকাতে পারার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গণহত্যাকরীদের রক্ষা করতে গিয়ে বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশের সাথে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বন্দ্বেও জড়াবেন না, কেননা এতে উভয় দেশের বৈরিতা এবং ক্ষতি হবে, সময়ক্ষেপণ হলেও ভারত সেই ইঙ্গিত দেয়া শুরু করেছে। 

বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে বিএনপি যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার সম্ভাবনা আছে তাতে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। এককভাবে জামায়াত ইসলামীর বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আওয়ামী লীগের সাথে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে আঁতাত ব্যতীত শক্তিশালী বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের সাথে তাই জামায়াত ইসলামীর গোপন আঁতাতের গুঞ্জন চাউর হচ্ছে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভুল করা জামায়াত ইসলামী দলীয় সিদ্ধান্ত এবং কার্যপ্রণালী গ্রহণ করেন তাদের অতিউৎসাহী, সল্পজ্ঞানী নেতাকর্মীদের জন্য সর্বাত্মক সুবিধাজনক হয় এমন মতামতের উপর ভিত্তি করে। রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। কখনো কখনো দলকে হতে হয় উধার আবার দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও কঠোর। বর্তমান সময়েও দলীয় ইমেজ রক্ষা করতে গিয়ে এই কঠোরতার বলি হয়েছেন দলের পরিক্ষীত নেতাকর্মীরা। কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই কেবলমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে কিংবা বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দলীয় শাস্তি পেতে হয়েছে। বিএনপি এই ক্ষেত্রে সর্বদা সফলতার পরিচয় দিয়ে জনমনে আস্থা তৈরি করেছে।

জামায়াত ইসলামী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে তাদের দলীয় যৌক্তিক গ্রাউন্ডে দুই পাকিস্তানকে একত্রিত রাখতে পাকিস্তানের সহযোগী ছিলো। বিজয়ের পর আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা আবারও জামায়াত ইসলামীর উপর চরম নির্যাতন, কেন্দ্রীয় নেতাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। জামায়াত ইসলামী আওয়ামী লীগের হাত থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলসহ সর্বাত্মক আগ্রাসন থেকে দল এবং নেতাকর্মীদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগের সাথে সংযুক্ত থাকার যুক্তি উপস্থাপন করেছে। কিন্তু বিএনপি তখন গুম-খুন, জেল-জুলুম, চরম নির্যাতন উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ না থাকার পরেও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের গোপন আঁতাতের গুঞ্জন তাঁদের সকল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যে বুমেরাং করে দিবে, তা সময়ের সাথে সাথে প্রতিফলিত হবে। 
বিএনপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে এই আঁতাত সত্যিকারের হলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগই হবে জামায়াত ইসলামীর মরনকল। কেননা অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কাছে আওয়ামী লীগ হলো ধর্মের মতো। আওয়ামী লীগ ধর্মের সৃষ্টিকারী হলো মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এবং নবী হলো হযরত শেখ হাসিনা। ইতিহাস বলে ধর্মের বিলোপ কিংবা বিনাশ কঠিন। সময়মতো তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আশ্রয়দাতাকেই গ্রাস করবে, যার প্রমাণ অতীতেও রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সৃষ্টির মহানায়ক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কিংবা মাওলানা ভাষানীর মতো ক্লিন ইমেজের নেতাদের আওয়ামী থেকে অপমানিত হয়ে বিতারিত। শেখ মুজিবের হত্যার পর মিজানুর রাহমানের আওয়ামী লীগ কিংবা মালেক উকিল সাহেবদের লাঞ্ছিত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেখানে আবারো ভুল সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগের সাথে গোপন আঁতাত করে, দীর্ঘদিনের রাজপথের নির্যাতিত এবং পরিক্ষীত, তুমুল জনপ্রিয় বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াত ইসলামী উঠেপড়ে লেগেছে এমন গুঞ্জন শোনা যায়। এই গুঞ্জনের সত্যতা পাওয়া গেলে দীর্ঘদিনের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী লড়াইয়ের সহযোগীদের মধ্যে দেশ গঠনে ঐক্যের বিপরীতে শুরু হবে লড়াই। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা, সর্বোপরি দেশ এবং দেশের মানুষ। আসল সুবিধাভোগী হবে ফ্যাসিবাদীর সহযোগীরা। অর্থের বিনিময়ে এবং মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে কৌশলে এমন বৈরী গ্রাউন্ডের গুঞ্জন তৈরি করতে পেরেছে এর চেয়ে বড় সফলতা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের জন্য আর কী হতে পারে?

অন্যদিকে ইসলামী দলগুলোর একেক দলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কর্মপরিকল্পনা আলাদা, এমনকি তাদের মধ্যে বৃহৎ অংশ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হওয়ায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্টেকহোল্ডার এবং ছাত্রজনতার প্রতিনিধিরা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে। সাময়িক সময়ের জন্য ক্ষমতার আসনে থাকা অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে তাতে জনগণের আস্থা হারিয়ে কিংস পার্টিতে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের এবং শক্তিশালী বিরোধী দলের এখন অভাব রয়েছে। নেগেটিভ তথ্য ছড়িয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সব গোষ্ঠীই এখন মড়িয়া। বিরোধী দলের শূণ্যতা পূরণ করতে সবাই বাছবিচার না করেই বিএনপির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সত্যমিথ্যার সংমিশ্রণ করে জণগণকে ভুল পথে ধাবিত করার জন্য শুরু করছে মিডিয়া ট্রায়াল।

একটি স্বচ্ছ এবং সাদা কাপড়ে ছোট স্পট পড়লে দূর থেকেও যেমন সবার চোখে ভেসে ওঠে তেমনই ক্লিন ইমেজের বিএনপিকে ইমেজ রক্ষার্থে লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।  উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে টেম্পু স্ট্যান্ড, জবরদখল ও চাঁদাবাজির নামে মিডিয়া ট্রায়াল চালু রয়েছে‌ । মিডিয়া ট্রায়াল সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে,  প্রচলিত আইন-আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা। আইন-আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে, কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া বা রীতিনীতি অনুসরণ না করে, সঠিক কারণ প্রকাশ না করে, অভিযুক্ত ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে একতরফা দোষারোপ করে সুনাম নষ্ট করা এবং ক্ষতিসাধন করাই মিডিয়া ট্রায়ালের মূল উদ্দেশ্য। বিএনপির বিরুদ্ধে টেম্পু স্ট্যান্ড অথবা মৃত্যু, দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজি অথবা হুমকির নামে প্রতিনিয়ত মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে এই মিডিয়া ট্রায়াল নতুন কোনো বিষয় নয়, ফ্যাসিবাদী আমলে পুরো সময় মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। এমনকি ২০০৭ সালেও ভয়ংকর মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়ে বিএনপি ভয়াবহ ইমেজ সংকটে পড়েছিল। সেনাবাহিনী সমর্থিত মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ৭ মার্চ ২০০৭ সালে বিনা মামলায়, জরুরি বিধিমালায় তারেক রমহানকে গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তারেক রহমানকে ‘মি. টেন পার্সেন্ট’ কখনো ‘খাম্বা তারেক’ সহ নানান মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে হয়েছিলো। কিন্তু সেই সরকার কিংবা ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীও গত ১৬ বছরে টাস্কফোর্স, এনবিআর, দুদকসহ সরকারের সব সংস্থা অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অথবা অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। বিএনপি দীর্ঘদিন মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রকাশিত করে জণগণের আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।!

লেখক: সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। এমফিল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com