
রাজধানীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)-এর বিশেষ অভিযানে ১ লক্ষ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা এবং একটি বিলাসবহুল প্রাইভেটকারসহ ৪ জন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
অভিযানের পটভূমি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টেকনাফ থেকে আসা ১.৬ লাখ পিস ইয়াবাসহ একটি হুন্দাই SANTAFE প্রাইভেটকার আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আবুল হাসেমের ছেলে সোহেল রানা (৩৪), শেরপুরে নালিতাবাড়ীর মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আল মামুন (৩২), চট্টগ্রামের খুলশীর মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক (৪৬)।
মাদক পাচারের অভিনব কৌশল
ডিএনসি জানায়, এই চক্রটি বায়িং হাউজ ও আবাসন ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা পাচার করত। তারা টেকনাফ থেকে বিলাসবহুল গাড়ির গোপন চেম্বারে বিশেষভাবে ঝালাই করে ইয়াবা লুকিয়ে আনত।
প্রায় ৩ মাস নজরদারির পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের দিন ৭ কিলোমিটার সড়কজুড়ে গাড়িটি ধাওয়া করে আটক করা হয়। প্রথমে গাড়ি তল্লাশি করে কিছু না পাওয়া গেলে বিশেষজ্ঞ দল গাড়ির পাদানির নিচের প্যানেল খুলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে।
আইনানুগ ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের অবৈধ অর্থ মানি লন্ডারিংয়ে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, ‘এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা বড় চালান সরবরাহের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আমরা গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি আরও জানান, নতুন মহাপরিচালক হাসান মারুফ মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে অধিদপ্তরের সব অভিযানে কঠোর নজরদারি বজায় রাখছেন।
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।