
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতো জননন্দিত কোনো নেতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং ‘নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি দেখি, জিয়াউর রহমান, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বড় তিনটি পিলার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে যখনই আঘাত এসেছে, পিলালের মতো দাঁড়িয়ে তারা এটাকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি দেখি, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া তিন-তিনটা স্বৈরসরকার তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রতিহত করেছেন। প্রতিহত করেছেন স্বৈরাচার এরশাদকে। প্রতিহত করেছেন ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনকে, প্রতিহত করেছেন খুনি হাসিনা সরকারকে।’
কাদের গনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশে তারেক রহমানের মতো জননন্দিত কোনো নেতা নেই। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিন দুই বছর ও হাসিনা ১৬ বছর তাদের যুদ্ধের বেশির ভাগ দিন ব্যয় করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। চরিত্র হননের চেষ্টা করেছেন। তারেক রহমানকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন তারা।’
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘বাস্তব সত্য হলো তারেক রহমান যে সত্যের রাজনীতি করেন, আজকে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বৈরশাসক হাসিনা তারেক রহমানের কাছে হেরেছেন। আজকে ইতিহাসের পাতায় শেখ হাসিনা খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। ছাত্র হত্যাকরী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আজকে তিনি আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আর তারেক রহমান আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেতাই পরিণত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতা তৈরি হয় জনগণের মন থেকে, তারেক রহমান সেটা প্রমাণ করেছেন।’
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জিয়া পরিবারকে শেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আরাফাত রহমানকে তারা হত্যা করেছে। চেষ্টা হয়েছে তারেক রহমানকে হত্যা করার। আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের মাঝে আছেন। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে তারেক রমানের নেতৃত্বে আমরা আর কোনো ফ্যাসিবাদ আসতে দেব না।