
৭ থেকে ২১ হাজার টাকা জমা দিলেই সহজ কিস্তিতে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। এমন লোভনীয় অফারে গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে সঞ্চয়ের টাকা জমা দেয় এনজিও’র মাঠকর্মীদের কাছে। কিন্তু গতকাল সোমবার সকাল থেকে সেই সিও এনজিওটি উধাও। এতে মাথায় হাত পড়েছে বিনিয়োগকারীদের।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কমপক্ষে ৪০ জনের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়া হয়েছে। উপজেলার টোক ইউনিয়নের বীর উজলী আমতলী এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় কার্যক্রম চালাচ্ছিল। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ওই এনজিও অফিসের সামনে ভিড় জমিয়ে বিক্ষোভ করে।
জুয়েনা (৩২) স্বামী শরিফ গ্রাম সেলদিয়া, জমা নিছে ১৪৫৫০টাকা লোন দিব ২ লাখ। পারুল(৪৫) ফালান গ্রাম সেলদিয়া জমা নিছে ২১৫৫০ টাকা, লোন ৩ লাখ। শাহানাজ (৩৪) স্বামী মস্তোফা সরকার গ্রাম দিগাবর জমা নিছে ১৪৫৫০, লোন দিব ২ লাখ। শিউলী আক্তার (৩২) স্বামী বেলায়েদ হোসেন, জমা ৭৫৫০ টাকা, লোন দিব ১ লাখ।
ডুমদিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী আসমা(৩০) জানান, তিনি দুই সপ্তাহ ধরে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিয়ে আসছেন।গতকাল রবিবার সকালে তার বাড়িতে আসেন ওই এনজিওর মাঠকর্মী সাইফুল। তিনি উঠানে বসে সঞ্চয়ের বইয়ের মধ্যে তার দেওয়া ২১ হাজার টাকা লিখে বইটি ফের নিয়েযায়। পরে বলে যান অফিসে গিয়ে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আসার জন্য। এ অবস্থায় তিনি অফিসে গিয়ে দেখেন তালাবদ্ধ।
তাকে খোঁজ করেও আর সন্ধান করতে পারেননি। এ সময় মাঠকর্মী সাইফুলের ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রতারিত হওয়া জুয়েনা(৩২) স্বামী শরিফ গ্রাম সেলদিয়া, জমা নিছে ১৪৫৫০ টাকা, লোন দিবে ২ লাখ।
পারুল(৪৫) স্বামী ফালান মিয়া গ্রাম সেলদিয়া জমা নিছে ২১৫৫০ টাকা, লোন দিবে ৩ লাখ
শাহানাজ (৩৪) স্বামী মস্তোফা সরকার গ্রাম দিগাবর জমা নিছে ১৪৫৫০ টাকা, লোন দিব ২ লাখ।
শিউলী আক্তার(৩২) স্বামী বেলায়েদ হোসেন, জমা ৭৫৫০ টাকা লোন দিব ১ লাখ। কিন্তু সবাই ঋণ আনতে গিয়ে অফিস বন্ধ পান। দুপুরের পর থেকে অফিসে তালাবদ্ধ দেখে সবাই বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের কাছে দেওয়া মোবাইল নাম্বার ০১৩২৪৮৫৬০০৪।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।