প্রকাশ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০০ পিএম

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্য কিছুটা শান্ত থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দুদিন গোলার শব্দ আসছে না। ফলে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে ‘স্বস্তি’ ফিরেছে।
তবে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা মংডু শহর বিদ্রোহী আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখলে নেওয়ার পর নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের বোট মালিক সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিয়ানমারের কারণে সাময়িকভাবে আমাদের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সীমান্তে আগের মতো গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। নিরাপত্তার অভাবে মাছ শিকারে না যাওয়ার জন্য সাময়িকভাবে এই নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আগমনসহ দ্বীপবাসীর জন্য ইমার্জেন্সি সাপ্লাইয়ে কীভাবে ঝুঁকিহীনভাবে নৌযান চলাচল করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে চরম উত্তেজনায় মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌকা মালিকরা মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকায় মাছ শিকারে যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রলারগুলো মাছ শিকারে যাবে। আপাতত সীমান্তে গোলার শব্দ বন্ধ থাকলেও কখন আবার শুরু হয় বলা মুশকিল।’
টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অনুপ্রবেশ রোধসহ সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে বিজিবি।’
এদিকে মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে রবিবার মংডুতে সামরিক জান্তার বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটিও দখলে নেওয়ার কথা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। এরপর থেকে নাফের আরাকান জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা।