প্রকাশ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৪৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দুইদিন আগে বাড়ি থেকে কিছু না বলে বের হয়ে যাওয়া কিশোর আবরাব জাওয়াদের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলের দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের সাহেব বাড়ির পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবরাব ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর জোড়াসেতু এলাকার কামরুল হাসানের একমাত্র ছেলে। কামরুল হাসান বর্তমানে ভিয়েতনাম প্রবাসী।
পুলিশ জানায়, গেরদা গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মো. সোহেল সাহেব বাড়ির পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ পুকুরে ভাসমান কিশোর আবরাবের মরদেহ উদ্ধার করে।
আবরাবের চাচা টিটু জানান, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে কিছু না বলে বের হয়ে যায় আবরাব। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তিনি জানান, আবরাব ফরিদপুর শাহীন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সোমবার রাতে এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।
টিটু জানান, হারানোর দিন রাতে ফরিদপুর শহরতলীর জোয়ারের মোড় এলাকায় স্থানীয়রা তাকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করতে দেখে আটকে রেখেছিল। কিন্তু পরের দিন সকালে ছেড়ে দেয়। এছাড়া ১১ নভেম্বর বিকেলে ০১৩৩৩১১৭২৩০ মোবাইল নাম্বার থেকে আবরাব এক্সসিডেন্ট করেছে, মানিকগঞ্জ হাসপাতালে আছে বলে পুলিশ পরিচয়ে ৭ হাজার টাকা চাইলে তাৎক্ষণিক নগদ নাম্বারে পাঠানো হয়। পরে সেই নাম্বার বন্ধ করে দিলে মনে হয়েছে প্রতারক চক্র।
কোতয়ালী থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। খবর পেয়ে সাহেব বাড়ি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।