
রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারসহ দুই সিটি করপোরেশনের ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘বাজার অস্থিরতার কারণ নিয়ে’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে কিছু দ্রব্যাদির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুরসহ রোজায় অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানিতে এলসি মার্জিন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রান্তিক খামারিরা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের কারণে অতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মুরগির বাচ্চা, ফিড ও ভ্যাকসিনান গ্রহণের যে রীতি গড়ে উঠেছিল, তা থেকে খামারিদের মুক্ত করে উৎপাদন ও বিপণন আরও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে ভোক্তা ও খামারিরা উপকৃত হবে। জনগণের কল্যাণের জন্য জনগণের মালিকানাধীন রাষ্ট্রে জনগণের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া এখতিয়ার ও ক্ষমতা সরকারের আছে। তাই সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার কোনো উদ্যোগ নিলে এতে শঙ্কায় পড়ার কোনো কারণ নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকারের সাথে সাথে ভাতের অধিকারও নিশ্চিত করতে হয়। বিগত সরকার ভোট ও ভাত কোনটারই অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। মানুষ না পেরেছে ভোট দিতে, না পেরেছে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকল থেকে বাঁচতে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর মানুষের অনেক আশা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর শুল্প কমানোর সিদ্ধান্তে এনবিআরকে স্বাগত জানাই। একই সাথে আশা করি, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চিনি, গম, ভোজ্যতেলসহ ৫/৬টি পণ্যের ওপর সরকার এলসি মার্জিন উঠিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিগত সরকার সৃষ্ট সিন্ডিকেটই বাজার অস্থিরতার জন্য দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
এ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক দৌলভ আক্তার মালা, মো. আলমগীর হোসেন, ইকবাল আহসান ও মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।