
অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর)। আর এর মধ্য দিয়ে পর্দা নামছে এবারের নোবেল পুরস্কার আসরের।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে এই নাম ঘোষণার কথা রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। শ্রমবাজারে নারী অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
জানা যায়, ১৯৬৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনকে নোবেল দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ক্লডিয়া গোল্ডিনসহ নারী মাত্র তিন জন। বাকি দুজন হলেন- এলিনর অস্ট্রোম এবং এস্তার দুফলো।
এদিকে এবারের নোবেল কোন খাতে যেতে পারে সে বিষয়ে সুইডেনের আপসালা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক মিকেল কার্লসন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ বছর নোবেল পেতে পারেন জাপানের নুবোহিরো কিয়োতাকি এবং ব্রিটেনের জন এইচ মুর। ছোট একটি ধাক্কাও অর্থনীতির চক্রকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা নিয়ে কাজ করেছেন এই দুজন।
এছাড়া মার্কিন অর্থনীতিবিদ সুসান অ্যাথে তার ‘বাজারের নকশা’র জন্য এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেতে পারেন বলেও মনে করছেন কার্লসন।
স্টকহোমের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকসের গবেষণা ইনস্টিটিউটের ম্যাগনাস হেনরেকসনের মতে, কে বা কারা অর্থনীতিতে নোবেল পাবেন, তা অনুমান করার সুস্পষ্ট জায়গা হলো নোবেল কমিটি কোন ধরনের গবেষণার স্বার্থের দিকে নজর দিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, এবার অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়ার অন্যতম দাবিদার ফরাসি ফিলিপ আঘিয়ন, মার্কিন জর্জ লোয়েনস্টাইন, কেনেথ রোফ এবং কারমেন রেইনহার্ট।
প্রসঙ্গত, প্রথা হিসেবে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সে হিসাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত যথাক্রমে চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর সোমবার (১৪ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি।
প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি সোনার মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা)।