প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৩২ পিএম

গার্মেন্টস খাতে সুতা ও তুলা আমদানিনির্ভর কিন্তু চামড়া দেশীয় পণ্য যা পশু পালনের সাথে জড়িত। অপার সম্ভাবনার এ খাতের সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আপনারা জানেন চামড়া খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত, কারণ রফতানি ও দেশের অভ্যন্তরে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গার্মেন্টস খাতে সুতা ও তুলা আমদানি নির্ভর কিন্তু চামড়া দেশীয় পণ্য যা পশু পালনের সাথে জড়িত। অপার সম্ভাবনার এ খাতের সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে রপ্তানি বহুমুখীকরণের কথা বলছি, সেখানে চামড়া খাতের বড় একটি সুযোগ রয়েছে। নানা সম্ভাবনা ও সমস্যা আছে। সেসব বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে পরিবেশগত দিক, অর্থায়ন, রফতানিতে চামড়ার সার্টিফিকেশন নিয়ে কথা হয়েছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোট কথা, আমরা চামড়াশিল্প ও চামড়াজাত পণ্যকে রপ্তানির একটি বড় খাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। সেটির সম্ভাবনা আছে। চামড়াশিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা খুব অভিজ্ঞ। এ খাতের একটি সুবিধা হলো এর কাঁচামাল দেশীয়। এর সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত জড়িত। তাই এ খাতকে সহায়তা করলে আরও একটি খাতের উন্নতি হবে।
এসময় লেদার গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, শত ভাগ রফতানিমুখি খাত হওয়ার পরও সাভারে সিইটিপির কাজ অসম্পূর্ণ থাকায়, আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ পাচ্ছেন না দেশের ব্যবসায়ীরা। যার জন্য ৭০-৮০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। সিইটিপি ঠিক করলে ২০১৫ সালের পরিস্থিতি আবারও ফিরে আসবে চামড়ার দামে।