প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৪৯ পিএম

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি মঞ্চে ওঠার পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা বের হয়ে যান।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশনকক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলও সভাস্থল ত্যাগ করে। এরপর ইরান ও আরব অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয়, কারাগারে থাকা উচিত।
সাধারণ পরিষদের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশনকক্ষের বেশির ভাগ আসনই খালি পড়ে আছে। অনেক দেশের প্রতিনিধি, ডেলিগেট, কূটনীতিক তখন নেতানিয়াহুকে ধিক্কার জানাতে দর্শক সারি থেকে চিৎকার করতে করতে উঠে পড়েন।
একই সময় ইসরায়েলের সমর্থকরা উল্লাস ধ্বনি দিতে থাকেন। দুই পক্ষের হট্টগোলে অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে হস্তক্ষেপ করেন সভাপতি।
এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের দর্শক সারিতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারা ক্ষুব্ধ কূটনীতিক ও শ্রোতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অনেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর হট্টগোল থামলে নেতানিয়াহু ভাষণ শুরু করেন। এসময় নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। তার ভাষণকালে ইসরায়েল সমর্থকরা ক্ষণে ক্ষণে হর্ষধ্বনি ও হাততালি দিচ্ছিলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিয়ে আলোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন। সূত্র : আনাদোলু