প্রকাশ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১৯ AM
আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবম্বলীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসব। আর এপূজার প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। শিল্পীরা রাত-দিন সমান ভাবে প্রতিমা তৈরী করতে দেখা যাচ্ছে কাহারোল উপজেলা সদরসহ গ্রামীণ জনপদের দূর্গা পূজা মন্ডপ ও মন্দির গুলোতে। প্রতিমা তৈরীর কারিগর বা শিল্পীরা তাদের অতি পরিশ্রমের প্রতিমা তৈরীতে তারা প্রতিযোগীতায় নেমেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন। ঋতু চক্র হিসাবে এখন চলছে শরৎ কাল। আর এই শরৎ কালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবম্বলীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। গতবছরের তুলনায় এবছরও দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১৪টি দূর্গা পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা সদরে অবস্থিত কাহারোল কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর সুকুমার চন্দ্র রায় জানান, আমি এবছর ৪টি দূর্গা মন্ডপে দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। একটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১৮ দিন সময় লেগে যায়। প্রতিটি প্রতিমা তৈরির কাজের মজুরি হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকি। তবে পূজার শুরুর আগেই আমি প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ন করব যদি ভগবান আমার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গত কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ দূর্গা মন্ডপে প্রতিমা তৈরী করতে কাদা-মাটি, বাঁশ, সুতলি দিয়ে শৈল্লিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরীতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। আবার কোনো কোনো প্রতিমায় মাটি-কাদা লাগানোর পর এখন পুরোদমে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা প্রতিমার গায়ে রং তুলি দিয়ে রং লাগাচ্ছেন।
এ দিকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও কাহারোল উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু গোপেশ চন্দ্র রায় এই প্রতিনিধিকে জানান, অত্র কাহারোল উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির সার্ব্বজনীন দূর্গা পূজার প্রতিমা তৈরীর কাজ ইতোমধ্যে সম্পুর্ন করা হয়েছে এবং এখন শুধু রং করণ করার অপেক্ষার পালা। পূজা শুরু হলেই পূজার দিন থেকেই পূজা মন্ডপের পর্দা উঠে যাবে এবং সকলেই মা দূর্গাকে দেখেতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, অত্র উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১১৪টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের লোকজনেরা। ১১৪টি পূজা মন্ডপে মধ্যে রয়েছে সার্বজনীন দূর্গা পূজা, চন্ডী পূজা, বাসন্তী পূজা ও পারিবারিক ভাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।