প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম

ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
দেখা যায়, তীব্র যানজটের কারণে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তাদের ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। পাশাপাশি সকাল থেকে গরম থাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্টের শিকার হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাস ও ট্রাক চালকদেরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই স্থানে বসে থাকতে হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যান চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ছুটির দিনে দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান মহাসড়কে আটকে পড়ে আছে। এ কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চিটাগাংরোডের বাস কাউন্টারের এক ম্যানেজার বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ এখনও পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করছেন না। এ কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। শিমরাইল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্যকে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, আজ সকাল ৭টার দিকে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মহাসড়কে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যায়। পাশাপাশি রাত থেকেই ত্রাণের গাড়ি থেকে শুরু করে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে আমরা বিকল যানবাহনটি রেকারের মাধ্যমে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যানজট নিরসনের আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন। আশা করছি, দুপুরের আগেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।