বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিরোনাম: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ    বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি : ডোনাল্ড লু     ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নব নিযুক্ত তিন বিচারপতি    র‍্যাব, শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র    সমীকরণে ছিটকে গেছে লখনৌ-দিল্লি, রইলো যারা.....    আ.লীগের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত দেশের মানুষ: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
‘একই অপরাধে একই ব্যক্তিকে ফৌজদারি আইনে দুইবার দণ্ডিত করা যাবে না’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, মানুষের অধিকার মানবাধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারগুলো সু-স্পষ্টভাবে সন্নিবেশিত আছে। সেখানে অধিকারগুলোর ২৭ অনুচ্ছেদ থেকে শুরু করে ৪৩ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার। সেই অধিকারগুলো নিশ্চিতকল্পে আমরা প্রতি মুহূর্ত স্টেট সহ আমরা যারা আইনজীবী, মামলার সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে যাই। ঠিক এখানেও বিশেষ করে বিচার এবং দণ্ড  সম্পর্কে মৌলিক অধিকার, অর্থাৎ এর তৃতীয় ভাগের ৩৫ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে সেখানে কিভাবে প্রটেকশন দেয়া হবে তা রয়েছে। সেখানে যেভাবে সন্নিবেশিত আছে সেখানে যদি ৩৫ (১) ধারায় যদি কেউ কোন অপরাধ একবার সংগঠিত করে অর্থাৎ যেখানে অপরাধটি সংগঠিত হলো যে সময়কালে সেই সময়কালে যে আইনটি বলবত ছিল সেই অনুসারে সেখানে সেই দণ্ডের বা অপরাধের বিচার এবং দণ্ড প্রদান করতে হবে।

মানবাধিকার সহ আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন এসব কথা বলেছেন।

অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, দেখা গেছে ১৯৯৫ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যদি বলা থাকে এই অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড। সেটা পরবর্তীতে কোন আইন করে সেখানে দেখা গেছে সেই দণ্ড কমিয়ে আনা হয়, কোন অবস্থাতেই সেই দণ্ড কমিয়ে আনা যাবে না। অর্থাৎ দণ্ড যেটা ছিল সেটার আলোকেই বিচার করতে হবে। অথবা দেখা গেছে দণ্ড যদি থেকে থাকে ১০ বছর সর্বোচ্চ সেখানে পরবর্তীতেও যদি কোন আইন করে সেটাতে আরও বেশি অর্থাৎ ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। কিন্তু সেই মৃত্যুদণ্ডও দেয়া যাবে না। অর্থাৎ ঘটনার কার্যকরী কালে যে সময় এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল সেই সময়কালে যে দণ্ড যে আইনে লিপিবদ্ধ ছিল সেই আইন দ্বারাই সেটা প্রতিপালন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। 



তিনি আরও বলেন, যদি কোন সময় এ রকম ব্যত্যয় ঘটে তাঁর জন্য আদালতে এসে প্রত্যেকটি বিচার প্রার্থী মানুষ এর প্রতিকার লাভ করতে পারে। অপর দিকে ৩৫ (২) ধারা অর্থাৎ সেখানে যদি ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে একবারই একমাত্র সোপর্দ করা যাবে বিচারে এবং তাকে সাজা দেয়া যাবে। ওই একই অপরাধের জন্য যদি একই সময়ে সংগঠিত হয়ে থাকে তাহলে কোন অবস্থাতেই তাকে দ্বিতীয়বার বিচারের আওতায় সোপর্দ করা যাবে না, তাকে দণ্ডও দেয়া যাবে না। আমরা মাঝে মধ্যে অনেক ঘটনা দেখি। দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বারও একই রকম প্রসিকিউড হচ্ছে অর্থাৎ আইনের কাছে সোপর্দ হচ্ছে। পুলিশ ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি তাকে এরেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সে সময় আমরা এ বিষয়গুলো আইনজীবী হিসেবে কোর্টের দৃষ্টিতে নিয়ে আসি। যদি আসলেই একই অপরাধ একবার সংগঠিত হয়েছে, সেকেন্ড অপরাধ সেটা না ঘটার পরেও আগের অপরাধকে কেন্দ্র করে সেকেন্ড একটি মামলা হয়েছে তাহলে সেটা কোর্ট আমলে নিয়ে প্রথম যে অপরাধ সেটাকে, সেই মামলাটাকেই কন্টিনিউ করে দ্বিতীয় মামলা সেটাকে ক্রস করে দেয় বা বাদ করে দিয়ে প্রথমটাকে নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে। 

অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, এই বিষয়গুলো আমরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যারা বিশেষ করে রুজু করেন, ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি তারা, মামলা যারা পরিচালনা করেন তারা, সঠিক বিচার প্রার্থী ব্যক্তিকে সঠিক পরামর্শ অর্থাৎ অনুচ্ছেদ ৩৫ (২) বলবত করার জন্য আমরা সঠিক পরামর্শ দিবো। অপরদিকে, একই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অনেক সময় দেখা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি আমরা প্রাথমিক ভাবে মনে করতেছি সে কোন অবস্থাতেই আসলে অভিযুক্ত না। তাকে যদি কোন সময় বাধ্য করা হয় অর্থাৎ ল-ইনফোর্সিং এজেন্সি বা পুলিশ যদি বলে তোমাকে এটা বলতে হবে কোর্টে যেয়ে তাহলে সেটাও আমরা বাধ্য করতে পারি না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যেটা বলতে ইচ্ছুক না সেই কথা গুলো, সেই অপরাধগুলো তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। এটা ৩৫ (৩) -এ বাধিত, এটা কোন অবস্থাতেই করা যাবে না। অপর দিকে দেখা যাচ্ছে যে, অনেক অনেক সময় কোন ব্যক্তিকে এরেস্ট করার পর বা ফৌজদারি অপরাধে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে তাকে এরেস্ট করার পর পরবর্তীতে দেখা গেছে তাকে নিয়ে থানাতে বা অন্য যে কোন সেন্টারে নিয়ে যন্ত্রণা দিছে, টর্চার করছে। এ বিষয়গুলো টোটালি করা যাবে না সেটাও কিন্তু ৩৫ (৪) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে। যদি এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট কোর্টের দৃষ্টিতে আনতে পারে একজন বিচার প্রার্থী মানুষ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে, অথবা সরাসরি হাইকোর্টে এসে সে বিষয়ের আলোকে কোর্টের দৃষ্টিতে এনে মামলা ফাইল করে তাঁর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]