#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:২১ AM

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে গড়তে চেয়েছিলেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে সেই অবস্থানে পৌঁছে গেছে দেশ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখাতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে আমাদের বাংলাদেশ। অনেকেই এই অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯২১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকে এমন একটা সময়ে আমরা আলোচনা করছি এটা হল এই মাসটি আমাদের জন্য আনন্দের মাস, এই মাসটি আমাদের বিজয়ের মাস। তাই এই বিজয়ের মাসে আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই ব্যক্তিকে, যিনি আমাদেরকে একটি পতাকা এনে দিয়েছেন, যার জন্ম না হলে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না, আজকে এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী চিন্তা-চেতনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র, বাধা অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তিনি স্বল্প সময়ে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার নেতৃত্বে দূরদর্শিতার স্বীকৃতি ও প্রশংসায় অভিষিক্ত হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেটি হচ্ছে ‘স্মাট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গর্ভমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি, এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং তাঁর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর তত্ত্বাবধানে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা অবশ্যই আধুনিক, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
মাকসুদা সুলতানা ঐক্য বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে গড়তে চেয়েছিলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে সেই অবস্থানে পৌঁছে গেছে দেশ। ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, মানবিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী সমাজ গঠনই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। যেজন্য দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তিনি। সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তার ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ধরে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন ২০২২ প্রায় শেষ কিন্তু শেষ হয়নি উন্নয়নের স্বপ্নের বাস্তবায়নের কাজ। ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কাজেই এটা ধরে এগোতে পারলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গিকার নিয়ে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতা যে আদর্শ দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও অক্লান্ত শ্রমের কারণেই আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।