#ডিসেম্বরের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস: কে এম লোকমান হোসেন। #দেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে: আবদুল কুদ্দুস বাদল।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:০১ পিএম

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনার দিগন্তে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯১৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, ইতালি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য এ্যাড. আবদুল কুদ্দুস বাদল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।
কে এম লোকমান হোসেন বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। এ ডিসেম্বরের বেশ কিছু ঘটনা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে দ্রুত ত্বরান্বিত করে। বাঙালি জাতি গৌরবের এই বিজয়ের ৫০ বছর ইতোমধ্যে পার করছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এ আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১ এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। বাঙালির এ স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রকাঠামো পেয়েছি। যে রাষ্ট্রের ভিত্তি গণতন্ত্র, সামাজিক সাম্য এবং মৌলিক অধিকার চর্চা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হচ্ছে রাষ্ট্র এজন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আবদুল কুদ্দুস বাদল বলেন, এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই আলাদা করা যায় না। বাংলাদেশের উন্নয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই আলাদা করা যায়না। বিদেশী প্রভুদের খুশি করার জন্য বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী সফল হবে না। বাংলাদেশের অপামার জনগণ কি চায় সেটায় মূল বিষয়। বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো থাকে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক যদি ভালো থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে আছে। কেউ যদি বিদেশী প্রভুদের খুশি করার জন্য বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা করে তাহলে তারা কখনোই সফল হবে না। সুতরাং গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন গত ১৩-১৪ বছরে হয়েছে সেটা আসলেই অবিশ্বাস বিষয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনার দিগন্তে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পানগাঁও নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, গ্যাস সংকট নিরসনে এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রাজধানীর চারপাশে স্যুয়ারেজ ট্যানেল নির্মাণের মতো অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।