সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিজয়ের সূর্য উঠেছিল এ মাসে
#সকল বাঙালি বিজয় মাস নিয়ে গর্ব করে: এম এ লিংকন মোল্লা। #বর্তমান প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক বিজয়ের চেতনা: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:০১ পিএম

বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।কষ্টার্জিত এ বিজয় তাই আমাদের অস্তিত্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯০৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা, ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক, ভোরের পাতা সংলাপের সমন্বয়ক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।

এম এ লিংকন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।এই ডিসেম্বরে আমাদের কিছু কষ্টের স্মৃতি রয়েছে। এই ডিসেম্বর মাসের যে চূড়ান্ত বিজয় তার জন্য এই বাংলা মায়ের ৩০ লাখ শ্রেষ্ঠ সন্তান যারা এই দেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ দিয়েছেন। আমাদের এই বিজয়ের ইতিহাস পৃথিবীর আর কোন ইতিহাসের সঙ্গে মিল নেই। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখন্ড। আর সবুজের বুকে লাল সূর্যখচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে। একটি সুসজ্জিত বাহিনী অর্থাৎ একটি বিরাট বড় গ্রুপ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে এই বাঙালি জাতিকে তার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। এই রকম ইতিহাস পৃথিবীতে খুব কমই আছে। পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করে অর্জিত সে বিজয় ছিল আনন্দের প্রিয়জন হারানো শোকেরও বটে। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে এবং বিজয়ের সেই আনন্দকে বুকে ধারণ করে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরে একটু একটু করে বদলে গেছে আমাদের স্বপ্ন স্বদেশভূমি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন আমরা পৌঁছে গেছি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তরুণ প্রজন্ম নতুন উদ্দীপনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে।

মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতির বিজয়ের মাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী, সামরিক বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা-বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের মহানায়ক হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  বিজয় দিবস বিশ্বের বুকে বাঙালির একটি অহংকারের নাম। বিশ্বের প্রতিটি জাতির জীবনে কিছু দিন আছে- যা সংশ্লিষ্ট দেশ ও জাতির মানুষের কাছে উপস্থিত হয় অন্যরকম এক অনুভূতি নিয়ে। যেসব দিনের স্মৃতি তাদের সব সময় উজ্জীবিত করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে প্রেরণা দেয়, শক্তি যোগায় দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৪৯ বছর হলেও আসলে সুসংঘবদ্ধ সমাজ হিসেবে আমাদের বয়স সাড়ে ৪ হাজার বছরের ওপরে। পরাধীন একটি জাতি, যাদের ইতিহাস হচ্ছে অবহেলা, বঞ্চনা আর শোষণের। এর কবর রচনা করে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে নিজস্ব সত্তা নিয়ে ও স্বাধীনভাবে মাথা উঁচিয়ে বেঁচে থাকতে ‘বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি রাষ্ট্র্র দিয়ে গেছেন যে বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনি অন্যকেউ নন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ বিজয়। যে পথ পরিক্রমায় অগ্রণী ভূমিকা ছিল তরুণদের। অন্যায়, অবিচার তথা পরাধীনতার বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন অবিরাম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন জনতার সাথে। গড়ে তুলেছেন মুজিব বাহিনী। ধ্বংস করেছেন হানাদার বাহিনীর একের পর এক পরিকল্পনা। কষ্টার্জিত এ বিজয় তাই আমাদের অস্তিত্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com