#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-প্রগতির শীর্ষে বাংলাদেশ: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল।
প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৩৯ পিএম

বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নেওয়া যায় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মাত্র মাত্র ৪০০ ডলার থেকে আজ ২৫৫৪ ডলার বর্তমান পার ক্যাপিটা ইনকামে এসেছে। ২০৪০ সালে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পার ক্যাপিটা ইনকাম ১২ হাজার ডলার। বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৬৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার চিন্তা, চেতনা সব কিছুই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরেই। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নেওয়া যায় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ কোন সম্ভাবনার ফুলঝুরি নয়। এই অগ্রগতি ক্রমশ চলমান। আজকের বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের আশার আলোতে বসবাস করছি। বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে যেভাবে তাঁর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সামনে রেখে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেখানে এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অর্জনের জন্য কয়েকটি মাইলফলক নির্ধারণ করেছেন। আমরা আশা করছি তার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো আমরা। এখন আমাদের মনে রাখতে হবে এই লক্ষে পৌঁছানোর জন্য অনেক বাধা-বিপত্তি, ষড়যন্ত্র আমাদের সামনে আসবে। এই সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, আজকের ভোরের পাতার এইরকম চমৎকার একটি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মাত্র মাত্র ৪০০ ডলার থেকে আজ ২৫৫৪ ডলার বর্তমান পার ক্যাপিটা ইনকামে এসেছে। ২০৪০ সালে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পার ক্যাপিটা ইনকাম ১২ হাজার ডলার। এখন কথা হচ্ছে এগুলো কিভাবে সম্ভব? এগুলো এইজন্যই সম্ভব কারণ আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী আছে এবং তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় যিনি আমাদের এই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন যদি না দিতে পারো তাহলে আমরা এভাবে এগুতে পারতাম না। অর্থনীতির আকারে বর্তমান বিশ্বে ৪০তম বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্বব্যাংক থেকে স্বীকৃতি মিলেছে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার। এসব অর্জন বাংলাদেশের সক্ষমতার পাশাপাশি মর্যাদাও বাড়িয়েছে।বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম, তৈরি পোশাকে দ্বিতীয়, পাট রপ্তানিতে প্রথম ও উৎপাদনে দ্বিতীয়, কাঁঠালে দ্বিতীয়, চাল, মাছ ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, আম ও আলুতে সপ্তম, ক্রিকেটে, আউটসোর্সিং ও বাইসাইকেল রপ্তানিতে অষ্টম, পেয়ারায় অষ্টম এবং মৌসুমি ফল উৎপাদনে দশম অবস্থানে বাংলাদেশ। ৫১ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ সেই স্বপ্ন পূরণের নাম বাংলাদেশ। সামগ্রিকভাবে দেশের অর্জনের তালিকা দীর্ঘ। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি। এর অন্যতম হলো দারিদ্র্য বিমোচন। কারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্রে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। তবে এ দুই খাতে সামগ্রিক গুণগত মান আরও উন্নতি করা জরুরি।