মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ ৪ চৈত্র ১৪৩১

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আবার যদি
মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ
প্রকাশ: শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৫৫ পিএম

আবার যদি শিশু হয়ে জন্ম নিতাম আমি, 
সবার কাছে আগের মতই হতাম অনেক দামি।

ঘুমপাড়ানি গানের সুরে মায়ের আদর পেলে,
তারই কোলে ঘুমিয়ে যেতাম সকল কিছু ভুলে। 

হাঁটি হাঁটি পা পা করে ঘুরে সারা বেলা,
সকল শিশুর সাথে মিশে চলতো শুধু খেলা। 

বাবার কাঁধে চড়ে যেতাম অনেক দূরের মাঠ,
সন্ধে হলে থাকতো না রোজ নিত্যনতুন পাঠ।

সবার আদর নিয়ে আমি একটু বড় হয়ে, 
শুরু হতো পড়া-লেখা গ্রামের স্কুলে গিয়ে।

সুযোগ পেলেই বন্ধুরা সব মিলে দলে দলে,
সাঁতরে যেতাম সারাটা দিন গড়াই নদীর জলে।

পাঠের শেষে ছুটে যেতাম বাড়ীর কাছের বিলে,
মাছ ধরতাম মজা করে আমরা সবাই মিলে।

ঘুঘু পাঠির ছানার নেশায় ঘুরি সারা বন, 
লেখাপড়ায় কী করে আর বসবে আমার মন।

ঘরের পাশে গাছের পাতায় টুনি পাখির বাসা,
চুপটি করে ধরবো তারে এটাই মনের আশা

আবার যদি ভর্তি হতাম নাকোলের স্কুলে,
নিত্য দিনেই ছুটে যেতাম বৃষ্টি বাদল ভুলে।

গাঁয়ের মাঠে হাডুডু খেলার নেশায় মেতে উঠি,
সন্ধে হলেই কুপির আলোয় পড়ার ঘরে ছুটি ।

পুকুর পাড়ে সকাল বেলা শীতের রোদে বসি,
চায়ের সাথে মুড়ি খেয়ে খাতায় অংক কষি ।

বোশেখ মাসের মেলায় গিয়ে ঘুরি সারা বেলা,
মাটির ঘোড়া, বাঁশের বাঁশি, নিয়ে করি খেলা ।

আবার যদি ভাইয়ের সাথে ঢাকায় চলে যেতাম,
ক্লাস নাইনে ভর্তি হয়ে অনেক মজা পেতাম।

ভাই বোনেরা সবাই মিলে একই বাসায় থেকে,
দিনগুলো যে পেরিয়ে যেতো কতকিছু দেখে। 

ক্লাসের ভিতর বসে বসে শিখি আর পড়ি,
মনে হতো জীবনটাকে নতুন করে গড়ি।

বিকেল হলেই পাশের মাঠে বন্ধুরা সব মিলে,
আড্ডা, গল্প, বাদাম খাওয়া হতো যে মন খুলে। 

আবার যদি ঢাকা কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতাম,
আট আনায় মুড়ির টিনের বাসে চড়ে যেতাম।

না-করা সব পড়াগুলো আবার শিখে নিয়ে,
অনেক ভাল ফল করতাম পরীক্ষার হলে গিয়ে।

সাইদ স্যারের বাংলা ক্লাসে অনেক আগে গিয়ে
মজার সেসব গল্প আমি শুনতাম মন দিয়ে।

দুপুর হলেই ক্যান্ডিনের সেই সমুচার দিনগুলি,

অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও কেমন করে ভুলি।

আবার যদি ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যেত, 
সবুজ ঘেরা ক্যাম্পাস ঘুরে মনটা শান্তি পেত।

সকাল হলেই চৈতালীতে চড়ে বসতাম আমি,
সময় গুনি কখন এসে টিএসসিতে নামি।

খুব সকালে রমজুল স্যারের ক্লাস কি আর পাবো,
সহজ সরল ভাষার কথায় মুগ্ধ হয়ে যাব।

নিরাপত্তার ক্লাস নিতে সেই জামান স্যারকে দেখি,
যুক্তি মেশা কত কথা ফিরে পাবো সেকি।

চলার পথে মধু দাদার ক্যান্টিন এসে গেলে,
সিঙ্গারা, পুরি, চা খাওয়ার দিন কি আর মেলে?

ফিরে পাওয়া সম্ভব কি আর অতীতের দিনগুলি?
মনে মনে খুঁজি তারে স্মৃতির দ্বোর খুলি।

ঢাকা, ২৫ আগস্ট ২০১৭খ্রিস্টাব্দ, ১০ ভাদ্র ১৪২৪ বঙ্গাব্দ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com