প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২৫ পিএম

এই জন্মদিনটি আমাদের জন্য একটি বিশাল পটভূমি। তিনি যখন ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বাংলাদেশে ফিরেছিলেন তখন আমরা চিন্তা করিনি যে, তিনি ৭৬ বছর বয়সেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক বিশ্বের অন্যতম একজন ক্ষমতাবান নেত্রী হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি যে ৭৬- এ উপনীত হচ্ছেন সেটি তার বিজয় মূর্তির রূপ। সকল বেদনাকে নীলকণ্ঠের মতো নিজের মধ্যে ধারণ করে তিনি অমৃতের সন্ধান দিয়েছেন বাঙালি জাতিকে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৪০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য, কবি ও কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
রবিন মোহাম্মদ আলী বলেন, ১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘর আলো করে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম। তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজকে এ পর্যন্ত আসতে পারতো না। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ২০০৮—০৯ বছরে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০—২১ সালে তা ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ সবই অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। একজন বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি সারাবিশ্বে পরিচিত লাভ করেছেন। পুরো পৃথিবীকে তাঁকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্মান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনের প্রবক্তা। রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছে তার প্রজ্ঞাময় দূরদৃষ্টি। পিতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে পাওয়া নিখাদ দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক বুৎপত্তি তাকে অমিত সক্ষম করেছে। ধৈর্যশীলতা, স্মরণশক্তি, কৃতজ্ঞতাবোধ, নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথার্থ সিদ্ধান্ত প্রদান শেখ হাসিনাকে কিংবদন্তি নেতায় পরিণত করেছে। তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বাটিও অসাধারণ। তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সর্বাবস্থায়, সর্বাত্মক। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেছেন সকল সংকট ও আঘাতের। কখনো ষড়যন্ত্র বা অপকৌশল আশ্রয়ী হননি। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারও প্রধানমন্ত্রী থেকেও বিশেষ কোনো ট্রাইব্যুনালে করেননি। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনের মূলে বাংলার মানুষ। কারণ বাবার মতো বাংলার মানুষই যে তাঁর আপনজন। পদ্মা সেতু, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল- এসব কথা বা নাই বললাম। এই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মানুষ না খেয়ে মরে না, পেট পুরে খায়। একজন মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সে স্বপ্নও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি।