প্রকাশ: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২, ৭:২১ পিএম
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বাজার চরম অস্থিতিশীল। এমন অবস্থায় ডলারের সংকট কাটাতে বিলাসী পণ্যসহ সার্বিক আমদানিতে নানা শর্ত আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুফল আসতে শুরু করেছে। কমেছে আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার পরিমাণ। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম।
রোববার (১৪ আগস্ট) কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম ১১২ থেকে ১১৪ টাকায় নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবারও এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমেছে ৬ থেকে ৮ টাকা।
একটি মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা বলেন, ডলারের রেট অনেক পড়ে গেছে। কেউ বিক্রি করতে আসলে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা কিনছি। আর ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় বিক্রি করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। এ কারণে আগের মতো সরাসরি খুচরা ডলার বিক্রি হচ্ছে না। এছাড়া সরবরাহ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের দাম কমছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসের ১১ দিনে দেশে মোট ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ মূল্যের আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। যা জুলাই মাসের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কম। জুলাই মাসে আমদানি হয়েছিল ২৫৫ কোটি ডলার।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য অনেক বেড়ে গেছে। ফলে গত কয়েক মাস ধরে আমদানি ব্যয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রচুর ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে ৪ জুলাই আমদানিতে বেশ কঠোরতা আরোপ করা হয়।