তুহিন জানান, মহাখালী রেলগেটে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল আটকাচ্ছিল। দুজন যাত্রী থাকলেই বাইকগুলোকে থামানো হচ্ছিল। কোন কোন বাইক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় আনোয়ার নামের এক পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে অমানবিকভাবে আঘাত করছিলেন। এতে কোন কোন যাত্রীকে পড়ে যেতেও দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সাংবাদিক হিসাবে হাতে থাকা মুঠোফোন দিয়ে সেই ছবি তুলতে থাকি। এতে আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। আর পেছন দিক থেকে আমার কালার চেপে ধরে তেজগাঁও থানার উপ-পরির্দশক শরিফুল ইসলাম। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর শরিফুল কলার থেকে সঙ্গে সঙ্গে হাত নামিয়ে ফেলেন। কিন্তু আনোয়ার আমার ওপর চড়াও হন। তার ভাই যমুনা টিভিতে কাজ করে এমন হুমকি দিয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে জোর করে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। এতে আমার হাতে ব্যথা পাই ও মোবাইলের স্ক্রিন ফেটে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট আমাকে আটকিয়ে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম এসে উপস্থিত হলে ঘটনা শুনে আমার মোবাইল ফেরত দেন। পুলিশি এই আচরণে আমি মর্মাহত।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, একজন পুলিশ সদস্যের দায় সবার ওপর বর্তায় না। তিনি অন্যায় করে থাকলে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এমদাদুল হক তুহিনকে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ রিপোটার্স ফোরাম (জিএমআরএফ)। সংগঠনটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তুহিনকে হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।
জিএমআরএফ’র সভাপতি কবির আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান অঞ্জনের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের সাথে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করবে, যাতে কোনোভাবেই কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।
ভোরের পাতা/কে