প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:২০ AM
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেফতার করেছে।
রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে সোমবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম। তার বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে এমন তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগ। বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেসিটগেশন বিভাগ। ওই সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে এই সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ২টি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার মামুন এক সময় মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যায়। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হয়। গ্রেপ্তার মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করত। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
ভোরের পাতা- এনই