ইমু–ফেসবুক ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল: ৬ লাখ টাকা দাবির অভিযোগে তিতাসের যুবক গ্রেফতার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:০৬ পিএম

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ইমু ও ফেসবুক ব্যবহার করে এক পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করে ও অর্থ আদায়ের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মোঃ সোহানুর রহমান ওরফে ইয়াকুব ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সাইবার টিম অভিযান পরিচালনা করে তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামস্থ ইয়াকুবের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার কৃত ইয়াকুব ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা যায় ইয়াকুবের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মেহনিকা নামের এক নারীকে গত ২৫ নভেম্বর ইমু অ্যাকাউন্টে ‘Accounts Found’ নামের একটি ভুয়া ইমু আইডি থেকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয় যে, তার স্বামীর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করতে; অন্যথায় সমস্যা হবে। পরে ভিক্টিম মেহনিকা তার মেসেঞ্জার চেক করে দেখতে পায় একটি অজ্ঞাত ফেসবুক আইডি থেকে সংবেদনশীল ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়েছে। একই ধরনের ছবি-ভিডিও ভিকটিমের ইমুতেও পাঠানো হয়।অজ্ঞাতনামা প্রতারকরা এ সব ছবি–ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৬,০০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। এমনকি স্থানীয় বিভিন্ন মানুষকে একটি গ্রুপে যুক্ত করে ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে বাদীপক্ষকে মানহানির হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে ‘Wahidul Siam’ নামের আরেকটি ইমু আইডি থেকেও একই ধরনের হুমকি ও ছবি-ভিডিও পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর জন্য প্রতারকরা 1Xbet অনলাইন অ্যাপের একটি অ্যাকাউন্ট আইডি ও পাসওয়ার্ডও সরবরাহ করে।
তদন্তে মেটা এবং সাইবার তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারণায় ব্যবহৃত ফেসবুক ও ইমু অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে আসামি সোহানুর রহমান প্রকাশ ইয়াকুবকে শনাক্ত করে গত ১০ ডিসেম্বর সকালে তিতাস থানার দক্ষিণ বলরামপুর এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সঞ্জয় সিকদার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কুমিল্লা বলেন,ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা অভিযুক্তকে সনাক্ত করে তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামের অভিযুক্তের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করি।এবং পন্যগ্রাফি আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।