শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: ঝিনাইদহে অবৈধ পলিথিনসহ পিকআপ জব্দ।   এন্ডোসকপির পর খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ, শাশুড়িকে দেখে মায়ের বাসায় জোবাইদা   আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ: জামায়াত আমির   খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির   খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স    বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন হাসিনা, অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করল বিবিসি
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিক্ষোভ দমন করতে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই তথ্য উঠে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনে। ওই সময়ের ফোনালাপ বিশ্লেষণ করে সেই নৃশংসতার ঘটনায় তার সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিক্ষোভ দমন অভিযানে প্রাণঘাতী সহিংসতার সরাসরি অনুমোদন দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা- এমন একটি ফোন কলের অডিওর সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি আই। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। অডিওটির মেটাডাটাসহ যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেছে বিবিসি আই।

এ বছর মার্চ মাসে অনলাইনে ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে শেখ হাসিনাকে একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বলতে শোনা যায়, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘মারণাস্ত্র ব্যবহারের’ অনুমতি দিয়েছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে’।

৩৬ দিনের আন্দোলনের সময়কার শত শত ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। সিসিটিভি ফুটেজ, ড্রোন ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় তারা দেখিয়েছে, পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। ফাঁস হওয়া অডিওটি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১৮ জুলাই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ওই ফোনালাপটি করেন।

মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের এই ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায়, গত গ্রীষ্মে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।

অজ্ঞাত একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া এই অডিওটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে, তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ ফরেনসিক অডিও বিশেষজ্ঞ দল ইয়ারশট এবং বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি অডিওটি মেটা ডাটা পরীক্ষা করে অবিকৃত এবং বিশ্বাসযোগ্য বলে নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অডিওটি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনটিএমস রেকর্ড করেছিল। তবে অডিওটি কে ফাঁস করেছে, তা নিশ্চিত নয়।

বিবিসির দেখা পুলিশের নথিপত্র অনুযায়ী, শেখ হাসিনার ওই ফোন কলের পরবর্তী দিনগুলোতে সামরিক মানের রাইফেল ঢাকা শহরজুড়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি ও হত্যার বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাহিনীর একজন মুখপাত্র ঘটনা স্বীকার করে বিবিসিকে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তৎকালীন পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে অপেশাদার আচরণ করেছিলেন।

ওই অডিও রেকর্ডটিকে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন প্রসিকিউটররা।

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই এই বিচার চলছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীদের মতে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়। শেখ হাসিনার পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডে সাবেক সরকার ও পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আইসিটি মোট ২০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে, যাদের মধ্যে ৭৩ জন বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com