বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দুর্বিষহ দুঃসময় পার করে আসছে।ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের আমলে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও কিছু নিবেদিতপ্রাণ নেতা এখনও তৃণমূলের পাশে থেকে তাদের সাহস ও নেতৃত্বের গুণাবলীর মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছেন। তেমনি একজন হলেন ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন।
আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের ওপর একের পর এক নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। মামলা-হামলা, লুটপাট, চেম্বারে হামলা-এসব কোনো কিছুই বাদ যায়নি শাহাদাত হোসেনের জীবন থেকে।
তিনি শুধু জেলা বিএনপির সদস্য সচিব নন, তিনি একজন সিনিয়র আইনজীবী ও আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার আইনজীবী চেম্বারেও হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে, কিন্তু তিনি পিছপা হননি। তিনি সব সময় চিন্তা করতেন দলকে কিবাবে সুসংগঠিত রাখা যায় ওই সময় ফ্যাসিস্টদের আমলে সচরাচর কোনো নেতা প্রকাশে আসতে চাইত না ওই সময় তার সাহসী নেতৃত্বের কারণে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি আজও সুসংগঠিত রয়েছে।
যেসব সময় দলের অনেক শীর্ষ নেতারা চুপ থাকেন, সেই মুহূর্তেও শাহাদাত হোসেন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তৃণমূলের কর্মীদের রক্ষা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
সম্প্রতি নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দোসরদের চক্রান্তে বিএনপির কিছু কর্মী ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার হন। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ফাঁদ, যা ঝালকাঠি জেলা ও নলছিটি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভালোভাবেই জানতেন।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতারা নিরব ভূমিকা পালন করেন। বিপদগ্রস্ত কর্মীরা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সহযোগিতা পাননি। ফলে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়।
ঠিক এই সংকটময় মুহূর্তে শাহাদাত হোসেন তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি বলেন,তোমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমি তোমাদের পাশে আছি, তোমাদের কিছুই হবে না। ইনশাআল্লাহ, আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জামিনের ব্যবস্থা করব।
তার নেতৃত্বে ও আইনগত প্রচেষ্টায় অবশেষে বিএনপির সেই কর্মীদের জামিন মঞ্জুর হয়। এই সাহসী পদক্ষেপে কর্মীদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
এ ঘটনার পর বিএনপির সাধারণ কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন যদি আমরা বিপদে পড়লে কেউ পাশে না থাকে, তাহলে দল করার লাভ কী? তারা মনে করেন, দল টিকিয়ে রাখতে হলে কেবল বড় নেতাদের জন্য নয়, বরং তৃণমূলের কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থাকতে হবে। এই দায়িত্ব শুধু জেলা বা কেন্দ্রীয় নেতাদের নয়, বরং ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। যদি তারা পিছিয়ে থাকেন, তাহলে দলের ভেতরে হতাশা তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে কর্মীশূন্য হয়ে পড়তে পারে বিএনপি।
আজ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা একবাক্যে স্বীকার করেন- শাহাদাত হোসেনের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতা আছে বলেই ঝালকাঠি জেলা বিএনপি এখনো সংঘবদ্ধ রয়েছে।
সাধারণ কর্মীদের আহ্বান, দলের ঐক্য ধরে রাখতে হলে শাহাদাত হোসেনের মতো নেতৃত্বই প্রয়োজন। সবাই যদি তার মতো একসঙ্গে কাজ করেন, তাহলে বিএনপি আগামীতেও শক্ত অবস্থানে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারবে।