বাংলাদেশে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে শুরায়ে নেজাম পরিচালিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে এ মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেছেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করা হয়।
আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ।
এদিকে বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে এপি, টিআরটি ওর্য়াল্ড, ওয়াশিংটন টাইমস, এবিসি নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যম বিশ্ব ইজতেমায় লক্ষাধিক তাবলিগ অনুসারীর অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে শিরোনাম করেছে।
এপি শিরোনামে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করেছে লক্ষাধিক মুসলিম। সংবাদ বিবরণে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্কলারদের বয়ান শোনার জন্য বাংলাদেশের রাজধানীর কাছে নদীর তীরে শুক্রবার থেকে লক্ষাধিক মুসলিম অংশগ্রহণ করেছেন। তিন দিনের এই ইজতেমা শেষ হবে রোববার।
এবিসি নিউজে বলা হয়েছে, তাবলিগের অনুসারীদের জমায়েতের জন্য ১৯৫০ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন শুরু হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড তাবলিগের শূরায়ে নিজামের মুখপাত্র হাবিবুল্লাহ রায়হানের বরাতে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ৭২টি দেশের প্রায় ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান অংশ গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন টাইমসের খবরে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে লক্ষাধিক তাবলিগ অনুসারীর অংশগ্রহণ ও নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, লক্ষাধিক মুসল্লির নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা চেকপোস্ট, সিসি ক্যামরা স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করেছে ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা।