প্রকাশ: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:১৭ পিএম

কক্সবাজার শহরের খুরুশকূল পুরাতন ব্রিজের পাশ থেকে আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে পথচারীরা ও পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে।
কালাম কক্সবাজার সদরের খুরুশকূল ইউনিয়নের ফকির পাড়ার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল সোহেল জানান, সকালে হাঁটার জন্য বের হলে খুরুশকূল বেইলি ব্রিজের উত্তর পাশের সড়কের পশ্চিম পাশের নালায় মৃতদেহটি দেখা যায়। চিনতে পেরে তার বাড়িতে খবর জানায়। পরে পুলিশ ও স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, ইজিবাইক চালিয়ে প্রায়ই রাত ১০টার মধ্যে বাড়িতে চলে যান আবুল কালাম। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ফিরেনি। গভীর রাত পর্যন্ত না ফিরলে চিন্তিত হয়ে পড়ে স্বজনেরা। রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।
তত্ত্ব সূত্রে জানা যায়, অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা এখন কক্সবাজার শহরের পুরনো খুরুশকূল বেইলি ব্রীজ। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এই ব্রীজকে ঘিরে নদীর পাড় ও টংয়ের দোকানগুলোতে জমায়েত হয় মাদকসেবি, ছিনতাইকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দাগী আসামি। পরে রাতভর সেখানে চলে জোয়া, মাদক সেবন থেকে শুরু করে নানান অপরাধ কর্মকাণ্ড। এই নিয়ে বহুবার নানা অপরাধ সংঘটিত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এর নেই কোন তৎপরতা। এছাড়া কিছু টং দোকানদাররা ওসব অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় অভিযোগ সচেতন মহলের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকই জানান, মূলত সন্ধ্যার পর থেকে ওসব দোকানগুলোতে ঘাপটি মেরে বসে থাকে অপরাধীরা। গভীর রাত হলে বের হয়ে পড়ে ওসব অপরাধীরা। মূলত সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে বসানো ওসব টং দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দিলেই অপরাধীদের আস্তানা নষ্ট হয়ে যাবে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও ওসিও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। হত্যা সম্পর্কে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডি স্কুল কাজ করছে।