প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪০ পিএম

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও জলদস্যু দমনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন দুবলার চরের ১১ হাজার জেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলেদের পক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত এ আবেদন করেন দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, রবিবার রাতে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জেলেদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় জলদস্যুরা। প্রথম দফায় সাগরে থেকে এ দস্যুরা ১৫জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই ফের দুবলার চরে হামলা চালালে জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে তিন দস্যুকে আটক করে। পরে তাদেরকে কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সাগর ও সুন্দরবন জুড়ে দস্যু আতংক বিরাজ করছে। এর আগে দস্যুতা বেড়ে গেলে ২০১২সাল থেকে ২০১৭সাল পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে প্রশাসন সুন্দরবন ও সাগর উপকূলকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছিল। এরপর বেশ কয়েক বছর দস্যুতা না থাকলেও গত বছরের মাঝামাঝি ও শেষ ভাগ থেকে আবারো সাগর ও সুন্দরবনে দস্যুতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এমতাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেরা অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর আবেদন জানিয়েছেন।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্দার মজনু ও সহযোগী আলিম এবং গোলামের নেতৃত্বে দয়াল বাহিনী নামক একদল দস্যু রবিবার রাতে দুবলার চর সংলগ্ন সাগর থেকে একটি ফিসিং ট্রলারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করে।
অপহৃত জেলেরা হলো সাতক্ষীরার শ্যামনগরের শাহ আলম, আসাশুনীর আজাহারুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজাহান গাজী, মোঃ রাসেল, শাহাজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, নুরে আলম, বাগেরহাটের রামপালের মতিয়ার সরদার, খান রফিক, মোংলার নাথন বিশ্বাস ও খুলনার পাইকগাছার রিপন মোড়ল।
তিনি আরো বলেন, এসকল অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে দুবলার চরের ১১হাজার জেলের পক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ইমেইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করছি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরের (মোংলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান বলেন, দস্যুদের হাতে ১৫ জেলে অপহৃত আছে শুনেছি, এ বিষয়ে তাদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।