
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা শুরু হয়েছে। ফসলের মাঠজুড়ে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঘন কুয়াশা এবং কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় চাষিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকরা জমিতে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ জমিতে গরু মহিষ দিয়ে মই দিচ্ছেন। আবার কেউকেউ ধানের চারা রোপন করছেন। কেউ আবার অন্যের জমিতে কাজ করছেন। গত বছরের চেয়ে এবারে খরচ বেশি বাড়ছে।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট বোরোধান আবাদ হয়েছে ১৩৯৪৫ হেক্টর, যা এবারে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে ১১৮৫০হেক্টর। এবারে বোরোধান জাত হাইব্রিড টিয়া, ময়না, SL8H,সিনজেন্টা ৭৭২০, সিনজেন্টা১২০৩, সিনজেন্টা ১২০৫, হীরা ০২, ০৫,১৯, নবীন, ডন১১১, লাকী ছক্কা, যুবরাজ, তেজ গোল্ড,বিআর ১৪,১৬, ব্রিধান ২৮,২৯,৫০,৫৮,৬৭,৭৪,৮৪,৮৮,৮৯,৯২,৯৬,১০০,১০১,১০২,১০৪,১০৫,১০৭,১০৮, বিনাধান ২৫ আবাদের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
কেন্দুয়াব গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন আকন্দ জানান, আমরা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছি। তবে বর্তমানে সার ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে বোরো চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিগত বছরের ন্যয় এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করা যাচ্ছে।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন কুমার বাসক জানান, প্রতিবছরই উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়ে থাকে। সেইসাথে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে থাকে। এবারও আমরা আশা করছি, এই মৌসুমেও স্থানীয় চাষীরা বোরোর আবাদে বেশ লাভবান হবেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কৃষকদের ফসল চাষে উৎসাহী হতে এবং দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
উপজেলার প্রতিটি ব্লকে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সরজমিনে গিয়ে কৃষকদের বোরোর আবাদে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কৃষি অফিস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনূকুলে থাকলে এবারও কাপ্তাইয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।