রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত, প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক প্রকাশ    মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধে অবৈধ বালু পাইপলাইন উচ্ছেদ   কানসাটে অসময়ের কাটিমন আম, মণপ্রতি ১৬ হাজার টাকা   ওসমান হাদির উপর হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ   ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিএনপির বিক্ষোভ   হাদিকে গুলি করার প্রতিবাদে তিতাস উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ   ঝিকরগাছায় জমি নিয়ে চাচা ভাতিজার বিরোধ, কবরস্থান দখলের পর স্থাপনা নির্মাণে বাধা    
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085968.gif
হাজার কোটি টাকার তেল-চিনি-ডাল কেনার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৮ AM

নতুন করে দুই দেশ থেকে ১ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে পাকিস্তান থেকেই জিটুজি ভিত্তিতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল ও ভারত থেকে ৫০ হাজার টন বাসমতি চাল কেনা হবে।

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় এক লাখ টন চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সভায় মোট ১৩টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অনুমোদিত ১৩টি ক্রয় প্রস্তাবের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৬টি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি।

সভায় পাকিস্তান থেকে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব করে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতি টন ৪৯৯ ডলারে সুপারিশকৃত দরদাতা ছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি)। ৫০ হাজার টন চালের আমদানি খরচ ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

খাদ্য অধিদপ্তরের আরেকটি ক্রয় প্রস্তাব ছিল চলতি অর্থবছরের জন্য ৫০ হাজার টন বাসমতি চাল ক্রয়। প্রতি টন ৪৫৪ ডলারে এ ক্রয় প্রস্তাবে সুপারিশকৃত দরদাতা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান গুরুদেয় এক্সপোর্ট করপোরেশন। এক্ষেত্রে ২৭৭ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন পায় ক্রয় কমিটির সভায়।

জ্বালানির দুটি ক্রয় প্রস্তাবের একটি হলো আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কার্গো এলএনজি ক্রয়। ৬৯২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার এ ক্রয় প্রস্তাবটিও অনুমোদন পায়।

এছাড়া সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে ১ কার্গো এলএনজি কেনার ৬৬৩ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাবটিও অনুমোদন পায় সভায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল এবং ১৫ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এ মসুর ডাল, ভোজ্যতেল এবং চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পৃথক তিন স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৯২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

এছাড়া সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৫০ পয়সা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং শবনম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ৯৫ পয়সা করে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনা হবে। অর্থাৎ সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সয়াবিন তেল এবং শবনম ভেজিটেবল অয়েল থেকে ৩৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার পাম অয়েল কেনা হবে।

এছাড়া দুটি স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১৫ হাজার টন চিনি কিনতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা দরে ১০ হাজার টন চিনি কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বাকি ৫ হাজার টন চিনি কেনা হবে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে। এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি কেজি চিনি ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা দরে সরবরাহ করবে। ফলে এ ৫ হাজার টন চিনির জন্য ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

টিসিবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় এক লাখ ৪৪ হাজার টন চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ হাজার টন চিনি কেনার চুক্তি হয়েছে। এখন আরও ১৫ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন মিললো।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিসিবির বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২ লাখ ৮৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯২ হাজার ৯৫০ টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি করা হয়েছে।

নতুন করে আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তার আলোকে গত ৯ ডিসেম্বর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং বৈধতার মেয়াদ ধরা হয় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763086027.gif

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1765376223.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085829.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085901.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763091212.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com