সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ৬ মাঘ ১৪৩১

শিরোনাম: এসকে সুরের ধানমন্ডির বাসায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার অভিযান, যা যা মিলল   পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন   সাউথ সুদানের ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী   দেড় মাসের আন্দোলনে হাসিনাকে হটিয়েছে যারা ভাবে তারা বোকার স্বর্গে আছেন   শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা   জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী মারা গেছেন   এমবিবিএস ভর্তির ফল প্রকাশ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিমানে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে হয় কেন
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৩ পিএম

সাধারণত ফ্লাইট মোডে স্মার্টফোন সমস্ত নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমান সফরে যেহেতু এমনিতেই ফোনে নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই অনেকেই আলাদা করে নিজের ফোন ফ্লাইট মোডে রাখেন না বা রাখার প্রয়োজন মনে করেন না। 

তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, বিমানে সফরকালে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখাটা জরুরি। কারণ, তা না হলে বিমান আকাশে ওড়াকালীন ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল ক্রমাগত নেটওয়ার্কের খোঁজ করবে এবং বিমানের নিজস্ব ইলকট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তির কাজে বাধা সৃষ্টি করবে।
 
একটি ফোন থেকে নির্গত সিগন্যাল বিশেষ কোনও সমস্যা তৈরি না করলেও বিমানের অধিকাংশ যাত্রীর ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল যদি এক সঙ্গে নেটওয়ার্কের খোঁজ করতে থাকে তবে তা বিমানের যোগাযোগ এবং দিক নির্ণায়ক প্রযুক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। তা থেকে ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং ইন্ডিয়ার উড়ান প্রশিক্ষক রাজা গোপাল। 

তিনি বলছেন, ‘আধুনিক বিমান এই ধরনের ঝুঁকি কমাতে পারে ঠিকই। তারও একটা সীমা আছে। একটা প্রমাণ সাইজের বিমানে কম করে দেড়শো যাত্রী থাকেন। সকলেই যদি ভাবে একা আমার ফোন আর কী ক্ষতি করবে, তাহলেই ভাবুন বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’

তবে কি বিমান সফরে ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে! বড় সঙ্কটের ঝুঁকি খুবই কম। তবে তা বিমানের স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশের ক্ষতি করতে পারে। ককপিটের সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের যে যোগাযোগ প্রক্রিয়া তাকে ব্যাহত করতে পারে। 

বিমান ওঠা-নামার সময়ে বিশেষ করে ফোন ফ্লাইট মোডে রাখা জরুরি। প্লেনের গতি এবং ক্রমাগত বাড়তে থাকা উচ্চতার জন্য ওই সময়ে ফোন বিভিন্ন টাওয়ার থেকে সিগন্যাল নিতে থাকে। প্রতি মুহূর্তে বদলাতে থাকে টাওয়ার। অন্য দিকে, বিমানও সেই সময়ে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে থাকে। রেডিয়ো অল্টিমিটারের মাধ্যমে ৪ গিগা হার্টজ রেঞ্জে চলে ওই যোগাযোগ প্রক্রিয়া। যা প্রায় মোবাইলের ফাইভ জি সিগন্যালের সমান। মোবাইলের সিগন্যাল সেই যোগাযোগকে ব্যাহত করতে পারে।

বিমান সফরে ফোনকে ফ্লাইট মোডে রাখার কাজটা আদতে খুব ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিমানে যারা সফর করছেন, তাদের প্রত্যেকের এবং আপনার নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এটা করা জরুরি। তবে এ ছাড়াও বিমান সফর কালে ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে আরও সমস্যা হতে পারে। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি ছাড়াও বিমানসফরে ফোন ফ্লাইট মোডে না রাখলে শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। বিমান সফরে বহু যাত্রীই কিছুটা উদ্বেগে থাকেন। ফোন থেকে নির্গত ইলকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন মানসিক চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা বিমানযাত্রীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমান সফরের সময়টুকু বরং ফোনের ব্যবহার না করে বিশ্রামে কাজে লাগান। হালকা মেজাজের বই পড়তে পারেন। ঘুমোতে পারেন এমনকি, মেডিটেশনও করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com