শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জুলাইয়ের শহীদ মেহেদীর বাবার স্বীকৃতি পেতে আইনি লড়াই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:২৪ AM

জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর মহাখালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী নামে এক তরুণ। সেই তরুণের বাবার স্বীকৃতি পেতে আদালতে নালিশি মামলা করেছেন মোহাম্মদ রিপন নামে এক ব্যক্তি।

মোহাম্মদ রিপনের দাবি, নিহত মেহেদী তাঁর ছেলে। কিন্তু মেহেদীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে পিতা হিসেবে রয়েছে মোহামিন মিয়া নামে এক ব্যক্তির নাম। মোহামিন মিয়া মেহেদীর সৎবাবা। মেহেদী নিহত হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকেই সবাই তাঁর বাবা হিসেবে জানে, রিপন মিয়াকে সরকার বা অন্য কেউ শহীদ ছেলের বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ডাকছেন না। তাই তিনি আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ইমাম হাসান মেহেদী। তাঁর মরদেহ তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। রিপন মিয়া নিজেই উপস্থিত থেকে ছেলের দাফন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার গত ২৮ জুলাই নিহত যে ৩৪ জনকে অর্থ-সহায়তা দেয়, সেই তালিকায় মেহেদীর নামও ছিল। তবে মেহেদীর মা কুলসুম বেগম সেখানে তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়াকেই মেহেদীর বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়েও ক্ষিপ্ত রিপন শহীদ ছেলের পিতার স্বীকৃতি পেতে গত সেপ্টেম্বরে আদালতে নালিশি মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মেহেদীর শৈশবে তাঁর বাবা মোহাম্মদ রিপনের সঙ্গে মা কুলসুম বেগমের বিচ্ছেদ হয়। বাবা-মা দুজনেই দ্বিতীয় বিয়ে করে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আলাদা সংসার করছেন। মেহেদী কখনো টাঙ্গাইলে তাঁর দাদা-দাদির সঙ্গে, আবার কখনো মায়ের সঙ্গে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে থাকতেন। বাবার কাছেও আসতেন মাঝে মাঝে। তবে মেহেদীর মৃত্যুর পর তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম মো. মোহামিন মিয়া। যিনি কুলসুম বেগমের বর্তমান স্বামী; অর্থাৎ মেহেদীর সৎবাবা।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কুলসুম বেগম, তাঁর বর্তমান স্বামী মোহামিন মিয়া, কুলসুমের বড় ভাই মো. রফিক, বড় বোন সাথী এবং সাথীর স্বামী চাঁন মিয়া জালিয়াতি করে তাঁর ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন। তাঁর ছেলে মেহেদী গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

গাড়িচালক রিপনের মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের এসআই রবিউল ইসলাম। ইতিমধ্যে মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগির আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

পিবিআই সূত্রটি বলছে, ২০০২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিয়ে হয়। ২০০৬ সালে এই দম্পতির কোলে আসে মেহেদী। তবে ২০১২ সালে রিপন ও কুলসুমের বিচ্ছেদ হয়। তাঁরা দুজনেই বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামীর নাম মোহামিন মিয়া। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোট্ট মেহেদী দাদা-দাদি, খালা, বাবা ও মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় থেকেছে। তবে বেশির ভাগ সময় থেকেছে মায়ের সঙ্গে। ২০২৩ সালে মেহেদী যে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন, সেখানে বাবার নাম দেন সৎবাবা মোহামিন মিয়ার। ওই এনআইডি কার্ড দিয়ে তিনি পাসপোর্টও তৈরি করেন। তাই পাসপোর্টেও তাঁর বাবার নাম মোহামিন মিয়া।

এ বিষয়ে কুলসুম বেগম বলেন, রিপন কখনো ছেলের খোঁজখবর নিতেন না। ভরণপোষণ দিতেন না। তাই আমার ছেলে তাঁর পরিচয় দিত না। আমার বর্তমান স্বামীকেই সে বাবা বলে জানত। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম মোহামিন মিয়া।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com