প্রকাশ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:২১ পিএম

সরকারের পালাবদলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে রদবদলের অংশ হিসেবে আরও ২০ দেশে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যে সুপারিশ আসছে সেটাও সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত পিএলআরে চলে যাবেন। তাদের রিকল করা হয়েছে। আরও প্রায় ২০টির মত দেশে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। সেই নিয়োগের উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর সরকার ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের ধারায় এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের সরানোর পাশাপাশি ফেরত আনা হয়েছে। চু্ক্তি বা প্রেষণে বিদেশি মিশনে দায়িত্ব পালন করা অনেকের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। সেই ধারা এখনও চলমান রয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এগুলোর কিছু বিষয় আছে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
এর আগে ১৫ আগস্ট চুক্তি বা প্রেষণে বিদেশি মিশনে দায়িত্ব পালন করা সাত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ ১২ জনকে ঢাকায় ফেরত এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী, জাপানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাষ্ট্রদূত আবু জাফর, জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও মালদ্বীপের মালেতে হাইকমিশনার রিয়াল অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
২১ আগস্ট চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করে আসা তিন রাষ্ট্রদূতকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস অপূর্ব জাহাঙ্গীর।