বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলমান জোড় ইজতেমায় বিশ্বের ১৮ দেশের মুরব্বি অংশগ্রহণ করেছেন। প্রায় দুই লাখ মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার পাঁচ দিনব্যাপী এ জোড় শুরু হয়।
এই জোড় ইজতেমায় গত একদিনে একজন মুসল্লি মারা গেছেন। তার নাম আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২)। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার দুলালী গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার প্রথম পর্বের আয়োজক তাবলিগের শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জোড় ইজতেমায় প্রায় দুই লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৮টি দেশ থেকে মোট ২৫৭ জন মেহমান উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে- ইয়েমেন থেকে ২৭, নরওয়ে থেকে ১, পাকিস্তান থেকে ৬১, সৌদি আরব থেকে ১৪, সিরিয়া থেকে ১, অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৩, ইংল্যান্ড থেকে ৯, কিরিগিজস্তান থেকে ১৭, সিয়েরালিওন থেকে ২, জার্মানি থেকে ২, জাপান থেকে ২, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২, ইতালি থেকে ৫, কানাডা থেকে ৩, আফগানিস্তান থেকে ৭, ভারত থেকে ৮৯, চীন থেকে ১ ও দুবাই থেকে ১ জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পুরো জোড়ে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় দুই লাখ মুসল্লি। তারা সবাই তাবলিগের তিন চিল্লার সাথি ও সময় লাগানো ওলামা। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়েছেন প্রায় আড়াই লাখ মুসল্লি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের নাঈম শাহ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুর রহমান। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কারগুজারি আমলের বয়ান করেন ভারতের বেঙ্গালুরুর মাওলানা ভাই ফারুক। বাদ জুমা বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক, বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা ওমর ফারুক। এরপর মাদ মাগরিব কারগুজারি আমল হয়।
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, শনিবার জোড় ইজতেমায় বাদ ফজর বয়ান করেছেন পাকিস্তানের রাইব্যান্ডের মাওলানা জিয়াউল হক।
সকাল ১০টার পর থেকে চলে কারগুজারির আমল। বাদ আসর বয়ান করবেন মাওলানা ফারুক। বাদ মাগরিব আম বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেউলা।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে ১ ফেব্রুয়ারি শুরায়ে নেজাম তথা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের আহমদ অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিল্লির মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা।