
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একদল শোবিজের তারকা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তারা সরব ছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের নানা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আবার একদল শিল্পী ছিলেন নীরব। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা দলীয় (আওয়ামী লীগ) ট্যাগে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
এই গ্রুপের স্ক্রিনশট এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ছাত্র-জনতার পক্ষে যেসব শিল্পীরা কথা বলেছেন, তাদের স্ক্রিনশট গ্রুপে শেয়ার করেছেন সদস্যরা। আর তাদের তালিকা করে পরে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয় গ্রুপটিতে।
গত মঙ্গলবার ফাঁস হয় ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট। গ্রুপের সদস্য ছিলেন দেশের শোবিজ তারকাদের একাংশ। স্ক্রিনশটে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে তাদের।
এবার ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের বিষয়ে কথা বলেছেন ‘প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে মৌসুমী গণমাধ্যমকে জানান, একজন শিল্পী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় থাকবেন কি না, সেটি নির্ভর করে তার মনস্তাত্ত্বিক ও ব্যক্তিসত্তার ওপর। তবে সাধারণ মানুষ বা শিল্পী কেউই রাজনীতিকে উপেক্ষা করতে পারে না।
কোনো শিল্পী বা রাজনৈতিক দল যদি গণমানুষের কথা না বলে তাহলে সাধারণ জনগণ তাকে ছুড়ে ফেলবে, সেটাই স্বাভাবিক। নায়িকা বলেন, রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দাপটে যেসব শিল্পী মানবতা লঙ্ঘন করে জাতির কাছে নীচুতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের জন্য আমার শিল্পী পরিচয় আজ লজ্জার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। সেই তালিকায় ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, নির্মাতা মিলন ভট্টাচার্য, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।