প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ৫:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভুঞা এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মদদে এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে মাদক কেনাবেচা চলে। মাদক চোরাচালান ও মাদক কারবারে তিনি জড়িত বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার সখ্য রয়েছে। ভয়ে এলাকার মানুষ তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না।
এলাকাবাসী জানান, আড়াল থেকে এলাকার মাদক ব্যবসার কলকাঠি নাড়েন তিনি। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে মাদক কেনাবেচার ছোট-বড় প্রায় ১৫ টি স্পট রয়েছে। এসব স্পট থেকে জামাল তার নিয়োগ করা লোকদের মাধ্যমে নিয়মিত টাকা আদায় করেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে জেলা শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে অনেক লোক বিষ্ণুপুরে আসেন। স্থানীয়রা তাদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তারা চেয়ারম্যান জামালের লোক বলে পরিচয় দেন। চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রায়ই সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাদক ও জুয়ার আসর বসে। এ আড্ডায় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। এলাকার একটি গুচ্ছগ্রামের আশপাশে প্রায়ই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় ফেনসিডিলের বোতল। অনেক রাস্তার পাশে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যান্ডের মদের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
চেয়ারম্যানের লোক পরিচয়ে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকার তরুণ-যুবকরা এখানে নির্ভয়ে মাদক সেবনের জন্য আসেন। আখাউড়া থেকে অনেক মাদক কারবারি বিষ্ণুপুরে নিয়মিত যাতায়াত করেন। চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভুঞায় ছত্রছায়ায় তারা এখান থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন বলে জানান স্থানীয়রা।
পুলিশি অভিযানে মাদক পাচার ও সেবনকারীরা আটক হলে চেয়ারম্যান নিজে ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মাধ্যমে তাদের ছাড়ানোর তদবির করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন জানান। এদিকে এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম্য বিরোধ মিমাংসার নামে টাকার বিনিময়ে শালিশ করেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার লোকজন তার কাছে একরকম জিম্মি।