প্রকাশ: বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪, ৮:৫৪ পিএম আপডেট: ১৩.০৩.২০২৪ ১০:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পবিত্র কোরআন সৃষ্টি জগতের নানা রহস্য, উচ্চতর জ্ঞান-প্রজ্ঞা, নৈতিক ও জীবন গড়ার শিক্ষাসহ অশেষ জ্ঞান এবং তথ্যের উৎসে ভরপুর। চিরমধুর, চিরনবীন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ কোরআনে কারিমের উপযোগীতা সব যুগে এবং সব স্থানে কার্যকর।
কোরআনে কারিমের আরেকটি বিস্ময়কর দিক হলো- এর মুখস্থকরণ। কোরআন মুখস্থ যারা করেন, তাদের কোরআনের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিতই নয়, বরং মুখস্থকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে শীর্ষে। কোরআন যত মানুষ মুখস্থ করেছে, পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ সে পরিমাণ মানুষ মুখস্থ করেনি। এমনকি ধারে-কাছেও নেই অন্যান্য গ্রন্থের মুখস্থকারীর সংখ্যা। পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন।
কোরআনে কারিম মুখস্থ করার ক্ষেত্রে আরেকটি অবাক করার মতো বিষয় হলো- মুখস্থ করার সময় ও বয়স। কোরআন মুখস্থ করার ক্ষেত্রে ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে শতবর্ষীরা রয়েছেন। নারী-পুরুষ সবাই আছেন এই মিছিলে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের এক কিশোরী মাত্র ৪ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। তার নাম জাকিয়া সুলতানা। সে কেরানীগঞ্জের আল ফাতাহ ক্যাডেট মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জাকিয়া মাত্র ৪ মাসে পুরো বাসায় গৃহশিক্ষক দ্বারা কোরআন মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। ১২ বছর বয়সী এই হাফেজে কোরআনের শিক্ষকের নাম রফিকুল ইসলাম।
জাকিয়া সুলতানার পিতা মোহাম্মাদ জাকির হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহকারী। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়। দুই মেয়ে ও এক ছেলের সংসারে জাকিয়া সুলতানা প্রথম।
জাকিয়া সুলতানার এই অবিস্মরণীয় অর্জনে তার আগামী পড়াশুনাসহ যাবতীয় সকল কিছুর ব্যয় বহন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বর্তমান সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, দৈনিক ভোরের পাতা ও দি পিপলস টাইসের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি।